HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফেক নিউজNo Image is Available
ফ্যাক্ট ফাইলNo Image is Available
শরীর স্বাস্থ্যNo Image is Available
HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফেক নিউজNo Image is Available
ফ্যাক্ট ফাইলNo Image is Available
শরীর স্বাস্থ্যNo Image is Available
ফেক নিউজ

ট্রফিতে পা রাখায় মার্শের বিরুদ্ধে ভারতে এফআইআর দায়েরের খবরটি সঠিক নয়

বুম বাংলাদেশ দেখেছে, ভারতের এক ব্যক্তি অজি ক্রিকেটার মার্শের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও তা এফআইআর আকারে দায়ের হয়নি।

By - Ummay Ammara Eva | 29 Nov 2023 12:45 AM IST

সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি, পেজ ও গ্রুপে পোস্ট করে বলা হচ্ছে, বিশ্বকাপ ট্রফির উপরে পা তুলে ছবি তোলায় অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার মিচেল মার্শের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভারতের পণ্ডিত কেশভ দেব নামে এক ব্যক্তি। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানেএখানে

গত ১৪ নভেম্বর অনলাইন পোর্টাল বাংলানিউজের ফেসবুক পেজে একটি সংবাদের লিংক পোস্ট করা হয় যার শিরোনাম, "ট্রফিতে পা রাখায় মার্শের নামে থানায় অভিযোগ"। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--



উক্ত খবরের লিংকে প্রবেশ করে দেখা যায় খবরে উল্লেখ রয়েছে, পণ্ডিত কেশভ দেব নামের এক ব্যক্তি ভারতের একটি থানায় মার্শের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং এফআইআরের (ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট) কপি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের অফিসেও পাঠিয়েছেন। স্ক্রিনশট দেখুন--


অর্থাৎ উপরের খবরে দাবি করা হয়েছে, ভারতে মিচেল মার্শের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে, ভিন্ন একটি ফেসবুক পোস্টে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সিয়াসাত ডেইলিকে তথ্যসূত্র হিসেবে উল্লেখ করে দাবি করা হয়েছে, অজি ক্রিকেটার মিচেল মার্শের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ভারতীয় এক ব্যক্তি। স্ক্রিনশট দেখুন--



ফ্যাক্ট চেক:

বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য পোস্টের দাবিটি সঠিক নয়। ভারতের পণ্ডিত কেশভ দেব নামের এক ব্যক্তি অজি ক্রিকেটার মিচেল মার্শের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন তবে তা এফআইআর কিংবা মামলা হিসেবে গ্রহণ করেনি পুলিশ।

প্রথমত, ফেসবুক পোস্টের ক্লেইম থেকে প্রাপ্ত সিয়াসাত ডেইলির লিংকে গিয়ে "UP man files police complaint against Mitchell Marsh for putting feet on WC trophy" শিরোনামে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভ্রষ্টাচারবিরোধী সেনা নামে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট পণ্ডিত কেশভ দেব নামের এক ব্যক্তি উত্তর প্রদেশের আলিগড়ের দিল্লিগেট পুলিশ স্টেশনে মিচেল মার্শের নামে বিশ্বকাপ ট্রফিকে অসম্মানের অভিযোগ করেন। তবে, পুলিশ এই বিষয়ে কোনো মামলা রেজিস্ট্রেশন করেনি। স্ক্রিনশট দেখুন--


অর্থাৎ, পণ্ডিত কেশভ দেব নামে ওই ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে মিচেল মার্শের বিরুদ্ধে কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।

দ্বিতীয়ত, ভারতে ক্রিকেটার মিচেল মার্শের বিরুদ্ধে উত্তর প্রদেশের পুলিশ স্টেশনে মামলা হওয়ার দাবিটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আলিগড় পুলিশের তরফ থেকে একটি এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে প্রকৃত ঘটনাটি জানানো হয়। এক্স পোস্টটিতে আলিগড় পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, সামাজিক মাধ্যমে এরকম একটি দাবি ছড়াচ্ছে যে, আলিগড় পুলিশ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার মিচেল মার্শের বিরুদ্ধে একটি মামলা গ্রহণ করেছে। আমি জানাতে চাই যে, আলিগড় পুলিশ ডিপার্টমেন্টের কোনো স্টেশন থেকে মিচেল মার্শের বিরুদ্ধে এরকম কোনো অভিযোগ রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি। টুইটার পোস্টটি দেখুন--


এদিকে, ভারতের একটি তথ্য যাচাই সংস্থা যোগাযোগ করলে পণ্ডিত কেশভ জানান, তিনি মিচেল মার্শের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেছেন, এফআইআর নয়।

প্রকৃতপক্ষে, ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের কেশভ দেব নামের এক ব্যক্তি সেখানকার দিল্লিগেট পুলিশ স্টেশনে বিশ্বকাপ ট্রফিকে অসম্মানের অভিযোগে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার মিচেল মার্শের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ভারতীয় আইন অনুযায়ী, পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ দায়ের করা মানে মামলা করা নয় বরং মামলা করার দাবি করেই মামলা পূর্ববর্তী পদক্ষেপ হিসেবে অভিযোগ জানানো হয়। তবে কেশভ দেব পুলিশ স্টেশন মামলা করার দাবি জানিয়ে অভিযোগ জানালেও আলিগড় পুলিশ সেই অভিযোগকে আমলে নেয়নি।

অর্থাৎ মিচেল মার্শের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর কিংবা কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।

সুতরাং বিশ্বকাপ ট্রফিকে অসম্মানের অভিযোগে অজি ক্রিকেটার মিচেল মার্শের বিরুদ্ধে এফআইআর কিংবা মামলা হওয়ার ভুয়া সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।

Tags:

Related Stories