সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একাধিক আইডি থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, এটি সম্প্রতি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত ইসরায়েল ও ভারতের দূতাবাসে আগুন লাগিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ৩১ মে 'Md. Al-amin Hosain' নামের একটি ফেসবুক একাউন্ট থেকে ভিডিওটি পোস্ট করে লেখা হয়, "তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইসরায়েল ও ভারতীয় দূতাবাসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। #Israel #India #Turkiye।" ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য ঘটনাটি সাম্প্রতিক নয়। তুরস্কের ইসরায়েল দূতাবাসে আগুন লাগানোর ঘটনাটি ২০২৩ সালের ১৮ অক্টোবরের ঘটনা।
আলোচ্য দাবির সত্যতা যাচাই করতে ভিডিওর কি-ফ্রেম নিয়ে গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চ করে "محاولات لحرق السفارة الإسرائيلية في تركيا من قبل متظاهرين" মিশরীয় সংবাদ মাধ্যম 'Al-Masry Al-Youm'-এর ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিওটি পাওয়া যায়। যেটি ২০২৩ সালের ১৮ অক্টোবর তারিখে আপলোড করা হয়। ভিডিওটির সঙ্গে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিওটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়। এই প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কে ইসরায়েলি দূতাবাসে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। ভিডিওটি দেখুন--
পরবর্তীতে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে "#protesters set fire to the #israeli #embassy in #turkey ." শিরোনামে ২০২৩ সালের ১৮ অক্টোবর 'GRE Learners' নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে আরও একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। যার সাথে ফেসবুকে প্রচারিত ভিডিওটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটির ডেস্ক্রিপশনে বলা হয়, তুরস্কে ইসরায়েল দূতাবাসে আগুন দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। ভিডিওটির স্ক্রিনশট দেখুন--
পরবর্তীতে কি-ওয়ার্ড সার্চ করে ইসরায়েলের হারেজ পত্রিকায় "Istanbul Police Averts Attempt to Storm Israeli Consulate After Gaza Hospital Explosion" শিরোনামে একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। ২০২৩ সালের ১৮ অক্টোবর প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় হাসপাতালে বোমা হামলা প্রতিবাদে তুরস্কে বিক্ষোভকারীদের একটি দল ইস্তাম্বুলের ইসরায়েলি কনস্যুলেট ভবনে পাথর, লাঠি ও আতশবাজি দিয়ে আঘাত করে। স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থাৎ তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত ইসরায়েলের দূতাবাসে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ প্রদর্শনের ভিডিওটি সাম্প্রতিক নয় বরং এটি ২০২৩ সালের ১৮ অক্টোবরের।
সুতরাং ইসরায়েলের দূতাবাসে আগুন লাগিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পুরোনো ভিডিও সাম্প্রতিক দাবিতে পোস্ট করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।