সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করে বলা হচ্ছে, বিএনপিকে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন জানিয়েছে এবং এখন থেকে সেনাবাহিনী দেশ চালাবে। এরকম দুটি পোস্ট দেখুন এখানে ও এখানে।
গত ১৭ ডিসেম্বর 'Md. Shofiqul Islam' নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে একটি ভিডিও শেয়ার করে বলা হয়, "বিএনপির ২৭ দফা দাবিতে ১৬ দলের জোট। সেনাবাহিনীসহ যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন। দেশ চালাবে সেনাবাহিনী।" ফেসবুক পোস্টটি দেখুন--
অর্থ্যাৎ ওই ভিডিওটির পোস্টের শিরোনামে দাবি করা হচ্ছে, বিএনপির ২৭ দফা দাবির ভিত্তিতে তৈরি ১৬ দলের জোটকে সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন দিয়েছে। এখন থেকে সেনাবাহিনী দেশ চালাবে।
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, পোস্টে করা দাবিটি সঠিক নয়। ভিডিওটির শিরোনামে বিএনপির ২৭ দফা দাবির ভিত্তিতে তৈরি ১৬ দলের জোটকে সেনাবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থনের কথা লেখা থাকলেও ভিডিওটির ভিতরে কোথাও এ ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই।
পোস্টের ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় এটি টেলিভিশন সংবাদের আদলে তৈরি করা। ভিডিওটির ১৯ সেকেন্ডে সংবাদের শিরোনাম হিসেবে বলা হয়, "জানিয়ে দেবো ২৪ ডিসেম্বর কী করবে বিএনপি"। পরে ভিডিওটির ৪ মিনিট ৩৮ সেকেন্ড থেকে ৫ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের দুটি মন্তব্য তুলে ধরা হয়। তবে পুরো ভিডিওটির মধ্যে বিএনপিকে সেনাবাহিনী বা যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন বা দেশ পরিচালনায় সেনাবাহিনীর দায়িত্ব গ্রহণ সংক্রান্ত কোনো তথ্যই উপস্থাপন করা হয়নি।
কি-ওয়ার্ড সার্চ করে অনলাইন সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কমে গত ১৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত খবরে বিএনপি'র ২৭ দফা ঘোষণার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, ১৯ ডিসেম্বর অর্থাৎ সোমবার বিকালে রাজধানীর একটি হোটেলে রাজনীতিবিদ, পেশাজীবী ও সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এক সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ রূপরেখা ঘোষণা করেন। দেখুন--
তবে, বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড ধরে নানাভাবে সার্চ করেও জাতীয় বা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বিএনপি'র ঘোষিত ২৭ দফায় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অথবা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সমর্থন কিংবা দেশ পরিচালনায় সেনাবাহিনীর দায়িত্ব গ্রহণ সংক্রান্ত কোনো খবর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সুতরাং চটকদার শিরোনাম দিয়ে ভিডিও'র বিষয়বস্তুতে ভিন্ন সংবাদ উল্লেখ করে বিএনপি'র দলীয় কার্যক্রমে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে ভিত্তিহীন খবর প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।