সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি, পেজ ও গ্রুপে একটি অনলাইন পোর্টালের লিংক পোস্ট করে বলা হচ্ছে, আর্জেন্টাইন ফুটবলার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে গ্রেফতার করে জেলে দেওয়া হয়েছে। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ২৪ ডিসেম্বর 'Ntv | এন টিভি' নামে একটি পাবলিক গ্রুপে 'Md Junayet' নামে একটি আইডি থেকে একটি অখ্যাত অনলাইন পোর্টালের লিংক পোস্ট করে বলা হয়, "অশ্লীল ভঙ্গভঙ্গির করার দায়ে কাতারের জেলে আর্জেন্টিনার গোলকিপার মার্টিনেজ……"। ফেসবুক পোস্টটি দেখুন--
অর্থ্যাৎ, ওই পোস্টে দাবি করা হয়েছে, বিশ্বকাপ ফাইনালের পুরস্কার বিতরণের সময়ে গোল্ডেন গ্লাভস জিতে পুরস্কার গ্রহণের পরে 'অশ্লীল' অঙ্গভঙ্গি করায় আর্জেন্টাইন ফুটবলার এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে কাতার।
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ দেখেছে, পোস্টে করা দাবিটি সঠিক নয়। পোস্টের ক্যাপশনে আর্জেন্টাইন ফুটবলার এমি মার্টিনেজকে জেলে পাঠানোর কথা লেখা থাকলেও পোস্টে সংযুক্ত সংবাদের ভিতরে কোথাও এ ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই।
পোস্টটির সাথে সংযুক্ত সংবাদটিতে ঢুকে দেখা যায়, newsh20.com নামের একটি অখ্যাত অনলাইন পোর্টালে 'অশ্লীল ভঙ্গভঙ্গির করার দায়ে কাতারের জেলে আর্জেন্টিনার গোলকিপার মার্টিনেজ…….' শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তবে, সংবাদটির ভিতরে কোথাও মার্টিনেজের গ্রেফতার হওয়ার ব্যাপারে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। স্ক্রিনশট দেখুন--
অর্থাৎ সংবাদের বিষয়বস্তু অংশের কোথাও মার্টিনেজকে কাতারে গ্রেফতার কিংবা তাকে জেলে দেয়ার কোন তথ্য উল্লেখ করা নেই।
এছাড়া, নানাভাবে বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড সার্চ করেও গণমাধ্যমে আর্জেন্টাইন ফুটবলার এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে গ্রেফতার বা জেলে পাঠানোর কোনো খবর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বরং কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপ জয়ের পর মার্টিনেজ নিজ দেশ আর্জেন্টিনায় ফিরে গেলে, তার হোম টাউনে তাকে হিরো হিসেবে সংবর্ধনা দেয়ার খবর প্রকাশিত হতে দেখা গেছে। মার্টিনেজের ছবিসহ "Argentina goalkeeper Emiliano 'Dibu' Martínez gets a hero's welcome in his home town" শিরোনামে আর্জেন্টিনার ইংরেজি গণমাধ্যম Buenos Aires Times পত্রিকার অনলাইনে গত ২৩ শে ডিসেম্বর খবর প্রকাশিত হয়। দেখুন প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট--
আর্জেন্টিনার মার দেল প্লাটা শহর থেকে গত ২২ ডিসেম্বর ছবিটি তোলেন এএফপির মারা সস্তি।
এই খবর প্রমান করে নিশ্চিতভাবে তিনি কাতার থেকে আর্জেন্টিনায় ফিরে গেছেন। অর্থাৎ কাতারে বিশ্বকাপের ফাইনালের পুরস্কার বিতরণ মঞ্চে 'অশ্লীল' অঙ্গভঙ্গির দায়ে তিনি কাতারের জেলে কারাবন্দী নন।
সুতরাং ফেসবুক পোস্টের ক্যাপশনে ও খবরের শিরোনামে এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে কাতারের জেলে পাঠানো হয়েছে বলে চটকদার ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে বিষয়বস্তুতে ভিন্ন সংবাদ লিখে প্রচার করা হচ্ছে, যা বিভ্রান্তিকর।