সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক পেজ ও আইডি থেকে দাবি করা হচ্ছে, ২০২৪ সালে বাংলা স্বরবর্ণ থেকে ঈ, ঊ, ঋ এবং বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণ থেকে ঞ, ণ, ঢ়, ৎ বর্ণগুলো বাদ দেওয়া হবে। বলা হচ্ছে, বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন এমন ঘোষণা দিয়েছেন। দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ১৫ মার্চ "Mahmud Suzon" নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে সেলিনা হোসেনের ঘোষণা দাবি করে একটি মেসেজের স্ক্রিনশটসহ তথ্যটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, "ঈদ হারিয়ে যাবে ইদে, ঊষা হয়ে যাবে উষা, ঋতু হয়ে উঠবে রিতু, পঞ্চম তবে পনচম, বর্ণমালা না হয় বর্নমালা হলোই, আষাঢ়ে গল্পের কি হবে কে জানে! আর বিদ্যুৎ কি তবে বিদ্যুত হয়ে যাবে”।স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, দাবিটি সঠিক নয়। বাংলা একাডেমি বা সেলিনা হোসেনের তরফ থেকে এমন কোনো বক্তব্য প্রচারিত হয়নি বলে বুম বাংলাদেশকে নিশ্চিত করা হয়েছে।।
সামাজিক মাধ্যমে বাংলা বর্ণমালা থেকে কয়েকটি বর্ণ বাদ দেয়ার দাবিটি ছড়িয়ে পড়লে সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টার "Rumour of 7 letters being dropped from Bangla alphabet untrue" শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে দাবিটি অসত্য বলে জানানো হয়।
পরে বুম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বাংলা একাডেমির সভাপতি ও কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তথ্যটি সঠিক নয় বলে নিশ্চিত করেন। তিনি বা বাংলা একাডেমির কেউ-ই এরকম কোনো বক্তব্য দেননি বলেও জানান এই কথাসাহিত্যিক।
অর্থাৎ ২০২৪ সাল থেকে কয়েকটি বর্ণ বাদ দেয়ার দাবিটি সঠিক নয়।
সুতরাং বাংলা একাডেমির সভাপতি ও কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের বরাতে বাংলা বর্ণমালা থেকে কয়েকটি বর্ণ বাদ দেয়ার দাবি করা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে, যা সঠিক নয়।