সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একাধিক আইডি পেজ ও গ্রুপে ক্রিকেটার ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের একটি বক্তব্যের ভিডিও শেয়ার করে বলা হচ্ছে, ছাত্র জনতার কাছে ক্ষমা চাইলেন সাকিব আল হাসান। এরকম কয়েকটি ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ৯ আগস্ট 'Radio Habiganj - রেডিও হবিগঞ্জ' নামের একটি ফেসবুক পেজে সাবেক সংসদ সদস্য ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বক্তব্য প্রদানের একটি ভিডিও শেয়ার করে বলা হয়, "লাইভে এসে ক্ষমা চাইলেন সাকিব"। ভিডিওটিতে একজনকে বলতে শোনা যায়, অবশেষে ছাত্র জনতার কাছে ক্ষমা চাইলেন সাকিব আল হাসান। পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, দাবিটি সঠিক নয়। আলোচ্য ভিডিওটি সাম্প্রতিক নয় বরং ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে ধারণ করা হয়। এক ভক্তের মোবাইল ভাঙা এবং একটি মন্দিরে পূজা উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে ভক্তদের মধ্যে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি নিয়ে সাকিব আল হাসান ভিডিও বার্তাটি দিয়েছিলেন এবং যদি তিনি কোনো ভুল করে থাকেন সেজন্য ভক্তদের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন।
আলোচ্য ভিডিওটি থেকে কি-ফ্রেম কেটে নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম আরটিভির ওয়েবসাইটে ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর "'আমি একজন গর্বিত মুসলমান' ক্ষমা চাইলেন সাকিব (ভিডিও)" শিরোনামে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কলকাতায় গিয়ে কালিপূজার একটি অনুষ্ঠান উদ্বোধনে যান সাকিব আল হাসান। প্রতিবেদনটিতে একটি ইউটিউব ভিডিও যুক্ত করা হয়। স্ক্রিনশট দেখুন--
আরটিভির প্রতিবেদনটির সাথে যুক্ত ইউটিউব ভিডিওটির লিংকে গিয়ে ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর 'Shakib Al Hasan' নামের একটি নন-ভেরিফায়েড ইউটিউব চ্যানেলে আপলোডকৃত সাকিব আল হাসানের বক্তব্য প্রদানের একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওটিতে দেওয়া বক্তব্য, সাকিব আল হাসানের পোশাক এবং ক্লোজ শটে দেখানো চেয়ারে মিল রয়েছে। ইউটিউব ভিডিওটি দেখুন--
এছাড়াও নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এবং যমুনা টেলিভিশনের ইউটিউব চ্যানেলেও একই সংবাদসহ ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।
অর্থাৎ সাকিব আল হাসানের ক্ষমা চাওয়ার এই ভিডিওটির সাথে সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ভিডিওটি প্রায় ৪ বছর আগে ভিন্ন ঘটনায় ভক্তদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝিকে কেন্দ্র করে সাকিব আল হাসানের ক্ষমা চাওয়ার ঘটনার।
সুতরাং ভিন্ন ঘটনায় সাকিব আল হাসানের ক্ষমা চাওয়ার ভিডিওকে সাম্প্রতিক দাবি করে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে যা বিভ্রান্তিকর।