ফেসবুকে একটি ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে, সৌদি যুবরাজ বিন সালমান হলিউড তারকা কিম কারদেশিয়ানকে ১০ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে তার সাথে এক রাত কাটানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। দেখুন ভিডিওটি এখানে।
গত ১৪ এপ্রিল 'অমীমাংসিত রহস্য' নামক একটি পেইজ থেকে "হলিউড অভিনেত্রীকে এক রাতের জন্য ১০ মিলিয়ন ডলার, ধনীদের অদ্ভুত সব কান্ড!" শিরোনামের একটি ভিডিও আপলোড করা হয়। ভিডিওটির ১.১০ সেকেন্ড থেকে দাবি করা হয়--
"এমনকি তিনি (বিন সালমান) এক রাতের জন্যে কিম কারদেশিয়ানকে ১০ মিলিয়ন ডলার অফার করে। এই ঘটনা ২০১৬ সালের যখন কিম কারদেশিয়ানের স্বামী ওয়েস্ট এর ৫৩ মিলিয়ন ডলার ঋণের বোঝা ছিল।"
এছাড়া বাংলাদেশি অনলাইন পোর্টালেও একই খবর ২০১৯ সালে প্রকাশ করেছিলো। তেমন কয়েকটি প্রতিবেদনের লিংক দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ-এর অনুসন্ধানে দেখা গেছে, কিম কারদেশিয়ানকে সালমানের দেয়া প্রস্তাবের খবরটি মূলত নেয়া হয়েছে 'ওয়ার্ল্ডনিউজডেইলিরিপোর্ট' নামক ওয়েবসাইটে ২০১৬ সালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে। উক্ত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, প্রিন্স সালমান এক প্রেস কনফারেন্স করে কিম কারদেশিয়ানকে উক্ত প্রস্তাব দেন।
কিন্তু 'ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেইলি রিপোর্ট' নামের সাইটটি মূলত স্যাটায়ারিকাল বা ব্যাঙ্গাত্মক ওয়েবসাইট। উক্ত সাইটের 'ডিসক্লেইমার' সেকশনে এই ব্যাপারে লেখা আছে--
"WNDR assumes however all responsibility for the satirical nature of its articles and for the fictional nature of their content. All characters appearing in the articles in this website – even those based on real people – are entirely fictional and any resemblance between them and any persons, living, dead, or undead is purely a miracle".
অর্থাৎ, উক্ত সাইটে প্রকাশিত সকল কন্টেন্ট মূলত কাল্পনিক এবং ব্যাঙ্গাত্মক। ফলে বিন সালমানকে জড়িয়ে করা খবরটিও ছিল কাল্পনিক।
তবে ইউকে-ভিত্তিক দ্য টেলিগ্রাফের ২০১৪ সালের একটি খবরে পাওয়া যায়, একজন সৌদি প্রিন্স কিম কারদেশিয়ানকে ১ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে এক রাতের সঙ্গী হবার প্রস্তাব করেছিল। পত্রিকামতে, সে সৌদি প্রিন্সের নাম ছিল আদেল আল ওতাইব। তবে সেই খবরটির সত্যতা নিয়েও সন্দিহান টেলিগ্রাফ পত্রিকাটি।
স্যাটায়ার ওয়েবসাইটটির বাইরে কোনো নির্ভরযোগ্য সংবাদমাধ্যমে কিম কারদাশিয়ানকে বিন সালমানের এমন কোনো অফারের খবর পাওয়া যায়নি। তাই খবরটি নিছক কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন।