সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে বলা হয়েছে, পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে আহত আন্দোলনকারী রাফিউল ইসলাম রাফি মারা গেছেন। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ৪ আগস্ট 'Aminul Islam' নামের পেজ থেকে আলোচ্য তথ্যটি পোস্ট করা হয়। পোস্টে উল্লেখ করা হয়, ""আমার বাবা নেই, ছোট একটা বোন আছে। কেউ দেখে রাইখেন" পাবনায় আজকে নিহত হওয়া রাফি এর শেষ কথা। পাবনার শহীদ।..........."। পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, দাবিটি সঠিক নয়। পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে আহত আন্দোলনকারী রাফিউল ইসলাম রাফি বেঁচে আছেন।
বিষয়টি নিয়ে কি-ওয়ার্ড সার্চ এর মাধ্যমে 'দৈনিক যুগান্তর'-এর অনলাইন সংস্করণে গত ৯ আগস্ট "গুলিতে নিহত বলে প্রচার, তবে বেঁচে আছে পাবনার রাফি!" শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। এতে উল্লেখ করা হয়, পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে নিহত হয়েছে বলে প্রচার চালানো রাফিউল ইসলাম রাফি বেঁচে আছে। বৃহস্পতিবার সরকারি এডওয়ার্ড কলেজসহ শহরে শিক্ষার্থীদের একাধিক কর্মসূচিতে তাকে অংশ নিতে দেখা গেছে। প্রতিবেদনটির স্ক্রিনশট দেখুন--
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী কি-ওয়ার্ড সার্চ এর মাধ্যমে পাবনার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম 'Pabnabarta24.com'-এর ফেসবুক পেজে গত ৯ আগস্ট "পাবনায় নিহত হিসেবে গুজব ছড়িয়ে পড়া সেই রাফি" শিরোনামে প্রকাশিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। ভিডিওতে রাফি'কে বলতে দেখা যায়, তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন, এখন ভালো আছেন। তাঁর বাবা নেই মর্মে যে তথ্য প্রচার করা হচ্ছে সেটিও সত্য নয়। তাঁর বাবা আছেন তবে মা নেই। ভিডিওটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ভিডিওটির প্রিভিউ দেখুন--
পরবর্তীতে রাফিউল ইসলাম রাফির কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি, "আমার বাবা নেই, ছোট একটা বোন আছে। কেউ দেখে রাইখেন" শীর্ষক কোনো কথা বলেননি বলে বুম বাংলাদেশকে জানিয়েছেন।
অর্থাৎ পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে আহত আন্দোলনকারী রাফিউল ইসলাম রাফি মারা যাওয়ার তথ্যটি সত্য নয়। এছাড়াও, 'আমার বাবা নেই, ছোট একটা বোন আছে। কেউ দেখে রাইখেন' শীর্ষক মন্তব্যটিও তাঁর নয়।
সুতরাং সামাজিক মাধ্যমে 'পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলিতে আহত আন্দোলনকারী রাফিউল ইসলাম রাফি মারা গেছেন' মর্মে যে তথ্য প্রচার করা হচ্ছে; তা বিভ্রান্তিকর।