সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক পেজ ও গ্রুপে একটি সংঘর্ষের ভিডিও শেয়ার করে বলা হচ্ছে, শোক দিবসে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে ও এখানে।
গত ১৫ আগস্ট 'ShAhid ShEpon' নামের একটি ফেসবুক পেজে একটি সংঘর্ষের ভিডিও পোস্ট করে বলা হয়, "শোক দিবসে পুলিশ লীগ আর আওয়ামী লীগের মধ্যে যু*"। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, উক্ত দাবিটি সঠিক নয়। মূলত গত ৭ আগস্ট জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে চলা প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনসমূহের এক বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জের সময় ধারণ করা ভিডিও এটি।
রিভার্স ইমেজ সার্চ করে দৈনিক পত্রিকা সমকালের অনলাইন ভার্সনে গত ৮ আগস্ট "শাহবাগে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশের লাঠিপেটা, আহত ২০" শিরোনামে ভিডিওসহ একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, "জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ লাঠিপেটা করেছে"। প্রতিবেদনটির স্ক্রিনশট দেখুন--
সমকালের প্রতিবেদনে যুক্ত ভিডিওটি শাহবাগে বিক্ষোভরত ছাত্রদের উপরে পুলিশের লাঠিচার্জের বলে উল্লেখ করা হয়। সমকালের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত ওই ভিডিওটি পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, আলোচ্য ভিডিওর শুরুর ক্লিপ ও সমকালের প্রতিবেদনে যুক্ত ভিডিওটি শুরুটা হুবহু এক। সমকালের ইউটিউব ভিডিওটি দেখুন আলাদাভাবে--
এবারে আলোচ্য ভিডিওর স্ক্রিনশট এবং সমকালের ভিডিওর স্ক্রিনশটের মধ্যে তুলনা দেখুন--
এছাড়াও, দৈনিক পত্রিকা মানবজমিনের ইউটিউব চ্যানেলেও গত ৭ আগস্ট প্রকাশিত একটি ইউটিউব ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ওই ভিডিওটিতেও দেখা যায় একই চিত্র। দেখুন মানবজমিনের ইউটিউব ভিডিওটি--
প্রসঙ্গত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আকস্মিকভাবে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ৩৪ টাকা এবং পেট্রলের দাম ৪৪ ও অকটেনের দাম ৪৬ টাকা বৃদ্ধি করে সরকার। এর প্রতিবাদে শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিভিন্ন বাম সংগঠন। বাম সংগঠনগুলোর সেই বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জের ভিডিওকে ১৫ আগস্ট শোক দিবসের দিনের ঘটনা বলে প্রচার করা হচ্ছে।
অর্থ্যাৎ, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শাহবাগে চলা এক বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জের ভিডিওকে শোক দিবসে পুলিশ বনাম আওয়ামী লীগের সংঘর্ষের ঘটনার ভিডিও বলে প্রচার করা হচ্ছে, যা বিভ্রান্তিকর।