সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক পেজ থেকে একটি ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি বিমানের কাঠমান্ডু থেকে পোখারায় যাওয়ার পর অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হওয়ার ছবি এটি। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ১৫ জানুয়ারি 'Click Ittefaq' নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ছবিটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখা হয়, "নেপালে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় ৭২ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছে। গত তিন দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে দেশটিতে এটা সবচেয়ে বড় বিমান দুর্ঘটনা। ইয়েতি এয়ারলাইনসের বিমানটি কাঠমান্ডু থেকে পোখারায় যাওয়ার পর অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়[...]"। স্ক্রিনশট দেখুন--
ছবিটি দৈনিক ইত্তেফাকের অনলাইন সংস্করণে "নেপালে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ৭২ আরোহীর সবাই নিহত" শিরোনামে গত ১৬ জানুয়ারি প্রকাশিত খবরের সাথেও যুক্ত করা হয়েছে। ক্যাপশনে ছবিটির উৎস বা প্রেক্ষিত সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ছবিটি সম্প্রতি বিধ্বস্ত হওয়া ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমানের নয় বরং ২০১৮ সালের মার্চ মাসে ঢাকা থেকে নেপালগামী ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিধ্বস্ত হওয়া একটি বিমানের।
ছবিটি রিভার্স ইমেজ সার্চ করার পর, বার্তা সংস্থা রয়টার্সে "Plane crash in Nepal" শিরোনামে ২০১৮ সালের ১২ মার্চ প্রকাশিত একটি চিত্র প্রতিবেদনে হুবহু ছবিটিই খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১২ই মার্চ নেপালের কাঠমান্ডু ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হওয়া একটি যাত্রীবাহী বিমানের। স্ক্রিনশট দেখুন--
এছাড়া ছবিটি তখন রয়টার্সের সূত্রে ভয়েস অফ আমেরিকাসহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরের সাথেও প্রকাশ করা হয়েছিল। খবর থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১২ই মার্চ নেপালের কাঠমান্ডু ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয় বাংলাদেশের ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান। উক্ত দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা ৫০ জনের অধিক যাত্রী এবং ক্রু নিহত হন।
অর্থাৎ ছবিটি নেপালে সাম্প্রতিক বিমান দুর্ঘটনার নয়।
প্রসঙ্গত গত ১৫ জানুয়ারি নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বাহাত্তর জন যাত্রী ও ক্রু নিয়ে পোখারা বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হলে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটে।
সুতরাং ২০১৮ সালের ভিন্ন একটি বিমান দুর্ঘটনার ছবিকে নেপালের পোখারায় ঘটা সাম্প্রতিক বিমান দুর্ঘটনার দাবি করে প্রচার করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।