সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন আইডি ও পেজ থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও উত্তরাঞ্চলের মূখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলমকে এনসিপির প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হল। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে ও এখানে।
গত ২৩ মার্চ ‘অপরাজেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ নামক পেজ থেকে বিজ্ঞপ্তিটি পোস্ট করে উল্লেখ করা হয়, “এনসিপিকে ধন্যবাদ। আমার মনে হচ্ছে সময়ের সেরা সিদ্ধান্ত এটি।” নিচে পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য দাবিটি সঠিক নয়। দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও উত্তরাঞ্চলের মূখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলমকে ফেসবুক স্ট্যাটাস বিতর্কে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে প্রাথমিক সদস্যপদ স্থগিত ও দল থেকে বহিষ্কার করা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া বলে নিশ্চিত করেছেন দলটির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত।
কি-ওয়ার্ড সার্চ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ফেসবুক পেজে আলোচ্য দাবির পক্ষে কোনো ধরণের তথ্য বা প্রেস বিজ্ঞপ্তি খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি এনসিপির ওয়েবসাইটেও এ ধরণের কোনো পোস্ট খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং ওয়েবসাইটে তাদের স্বপদে বহাল থাকতে দেখা যায়। স্ক্রিনশট দেখুন--
এছাড়া, কোনো কারণে দলটির অন্যতম শীর্ষ এই নেতাকে বহিস্কার করা হলে স্বাভাবিকভাবেই তা গণমাধ্যমে গুরুত্বের সাথে প্রচার হওয়ার কথা। কিন্তু কি-ওয়ার্ড সার্চ করে কোনো গণমাধ্যম কিংবা গ্রহণযোগ্য মাধ্যমে এ সংক্রান্ত কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব সালেহ উদ্দিন সিফাতের (যার নামে এবং স্বাক্ষরে প্রেস রিলিজটি প্রচারিত হয়েছে) সাথে যোগাযোগ করা হলে আলোচ্য প্রেস রিজিলকে ভুয়া বলে বুম বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছেন।
অর্থাৎ হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার দাবিতে ভাইরাল বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া।
সুতরাং ভুয়া বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এনসিপি থেকে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।