গত কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেয়া পাকিনস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে- ''কোন একটা কনফারেন্সে কনফারেন্সে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী প্রবেশের সময় অন্যান্য দেশের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিরা দাঁড়িয়ে তাকে সম্মান জানালেও ইমরান খান দাঁড়াননি। সেলুট জানাই।''
ফ্যাক্ট চেক:
ছবিটির স্থান এবং প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধান করতে
গিয়ে দেখা গেছে, ছবিটি ২০১৯ সালের ১৩-১৪ জুন কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেক-এ অনুষ্ঠিত সাংহাই সহযোগীতা সংস্থা (SCO) এর
শীর্ষ সম্মেলন এর সময় তোলা একটি ভিডিও থেকে স্ক্রিনশট আকারে নেয়া।উক্ত সম্মেলনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী উপস্থিতই ছিলেন না।
পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন তেহরিক ই ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে আপলোড করা একটি
ভিডিওতে দেখা যায়, সম্মেলন শুরুর পথে যখন সদস্য রাষ্ট্রপ্রধানরা এক এক করে ঢুকছেন তখন উপস্থিত সকল সদস্যই দাঁড়িয়ে ছিলেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনে প্রবেশ করে নিজের আসনে বসে পড়েন এবং পরবর্তিতে সবাইকে দাঁড়ানো দেখে আবার উঠে
দাঁড়ান এবং আবার সবার বসার অপেক্ষা না করে বসে পড়েন।উল্লেখ্য,
সাংহাই সহযোগীতা সংস্থার সদস্য দেশগুলো হলো ভারত, চীন, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, রাশিয়া, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান। এর আগে এটি সাংহাই ফাইভ (এবং পরে সাংহাই সিক্স) নামে পরিচিত থাকলেও ২০১৭ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে পূর্ণ সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হয় ভারত ও পাকিস্তান।
ইসরায়েল সাংহাই সহযোগীতা সংস্থার কোন সদস্য নয়। এছাড়া এই সংস্থার পর্যবেক্ষক হিসেবে আছে আফগানিস্তান, বেলারুশ, ইরান এবং মঙ্গোলিয়া। এর বাইরে ছয়টি ডায়লগ পার্টনার দেশ হলো আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, কম্বোডিয়া, নেপাল, শ্রীলংকা এবং তুরস্ক। ইসরায়েল এর কোনটিরই অন্তর্ভুক্ত নয়।
২০১৯ সালের সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশের
তালিকাতেও ইসরায়েল ছিলোনা।
অনুষ্ঠানের ভিডিওতে দেখা যায়, ইমরান খান যখন বসে আছেন তখন সদস্য অন্যান্য রাষ্ট্রপ্রধানদের একটি দলের সাথে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট পুতিন অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকছেন।সুতরাং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে দেখে সকলে দাঁড়িয়ে গেলেও একমাত্র ইমরান খান বসে ছিলেন এই দাবিটি সত্য নয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভাইরাল পোস্টে ইমরান খানকে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট বলে অভিহিত করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী।