ফেসবুকে দুটি ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, ছবি দুটো একটি তৃতীয় শ্রেণীর শিশু। দেরি করে আসায় স্কুলে তাকে বেধড়ক পিটুনির শিকার হতে হয়। দেখুন এমন দুটি পোস্ট এখানে এবং এখানে।
'আল্লামা মামুনুল হক সমর্থক গোষ্ঠী™' নামের ফেসবুকের গ্রুপে একটি আহত শিশুর দুটি ছবি পোস্ট করা হয়। ক্যাপশনে দাবি করা হয়, শিশুটি একটি বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। ১০ মিনিট দেরি করে আসায় শিক্ষক তাকে পিটিয়ে আহত করে ফেলে। দেখুন পোস্টটির স্ক্রিনশট--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ছবির ক্যাপশনে উল্লেখিত দাবিটি সত্য নয়।
ইন্টারনেটে সার্চ করে একাধিক সুত্রে এই ছবিগুলো পাওয়া গেছে। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে ইয়েমেনভিত্তিক আল নাব্বা নামক অনলাইন পোর্টালে এই ছবিগুলোসহ একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। সেই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ইয়েমেনের আল মাহভিত শহরে শামিক রশিদ আল কাহিলি নামক ১৪ বছর বয়সী কিশোরের উপর শারিরীক অত্যাচার চালায় তার পিতা। পরবর্তীতে পুলিশ সেই পিতা রশিদ মোহাম্মদ আল কাহিলিকে গ্রেফতার করে। দেখুন সেই প্রতিবেদনটির স্ক্রিনশট--
ইয়েমেনভিত্তিক আরেকটি পোর্টালেও একই খবর প্রকাশ করা হয়। দেখুন নিচে--
এই খবরটি পড়ুন এখানে।
সুতরাং ইয়েমেনের পিতা কর্তৃক পুত্রকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার ছবিকে স্কুলে শাস্তি প্রদানের ছবি বলে দাবি করা হচ্ছে যা বিভ্রান্তিকর।