সরকারী চাকরীতে কোটা বিরোধী আন্দোলন থেকে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদে ভাঙ্গনের দাবী করে একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে। 'সেই রাজাকার এই রাজাকার' নামক একটি ফেসবুক পেজ থেকে ভিডিও ক্লিপ টি পোস্ট করে লেখা হয়- ''অধিকার পরিষদ থেকে দুঃসাহসী মশিউরের পদত্যাগ।'' এখানে মশিউর বলতে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক মশিউর রহমানের কথা বলা হয়েছে। ৩০ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপটিতে দেখা যায় মশিউর রহমান ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর, ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতা রাশেদ খান এবং ফারুককে আন্দোলন ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য অভিযুক্ত করে নিজে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
ফ্যাক্ট চেক:
অনুসন্ধানে দেখা যায়, এই ভিডিও ক্লিপটি এর আগে ২০১৮ সালের জুনেও ফেসবুকে ছড়িয়েছিল। সেসময় কোটা বিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে ছিল। ২০১৮ সালের ৩০ জুন Bangla News Bank নামে একটি পেজ থেকে ৪৫ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপটি পোস্ট করা হয়। আর্কাইভ দেখুন এখানে।
এখানে উল্লেখ্য, এর একদিন পরই পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মশিউরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হলে ঢাকার অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর হাকিম তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। দেখুন এখানে।
এছাড়া 'সেই রাজাকার এই রাজাকার' পেজ থেকে করা ভিডিও পোস্টের একটি কমেন্টে মশিউর রহমান নিজেও ভিডিওটিকে কোটা আন্দোলনের সময়ের এবং তা তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রেকর্ড করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন।
যদিও বুম বাংলাদেশ মশিউরের এই দাবীটির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। তবে তিনি এখনো ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তার ফেসবুক আইডি থেকেও নিয়মিতভাবে পরিষদের বিভিন্ন কর্মসূচী সংক্রান্ত পোস্ট পাওয়া যায়।
অবশ্য গত ১৫ অক্টোবর ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরকে 'অবাঞ্ছিত' ঘোষণা করে ২২ সদস্যের নতুন আহ্বায়ক কমিটি দিয়েছে সংগঠনটির একাংশ। পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক এ পি এম সুহেল নতুন কমিটির আহবায়ক এবং অপর যুগ্ম আহবায়ক ইসমাইল সম্রাট সদস্য সচিব নিযুক্ত হন। দেখুন এখানে।
তবে এটা নিশি্চিত যে এই ভিডিও ক্লিপটি সাম্প্রতিক নয় এবং মশিউর পুনরায় আর পদত্যাগ করেননি।