সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি, পেজ ও গ্রুপে একটি ভিডিও পোস্ট করে বলা হচ্ছে, ভিডিওটি সম্প্রতি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ডাম্বুর বাঁধ উন্মুক্ত করে দেওয়ার সময়ে ধারণ করা হয়েছে। এরকম কয়েকটি ফেসবুক পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ২১ আগস্ট 'Touhidul Islam' নামে একটি ফেসবুক একাউন্ট থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করে বলা হয়, "ডম্বুর গেট খুলে দেওয়ার পর ভয়াবহ দৃশ্য.! বন্ধু রাষ্ট্র ।"। ভিডিওটিতে একটি বাঁধ দিয়ে পানি বের হওয়ার দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য পোস্টের দাবিটি সঠিক নয়। আলোচ্য ভিডিওটি সম্প্রতি ডাম্বুর বাঁধ উন্মুক্ত করে দেওয়ার সময়ের নয়। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে অবস্থিত ডাম্বুর বাঁধের আলোচ্য ভিডিওটি অন্তত ৫ বছর আগে থেকেই ইন্টারনেটে খুঁজে পাওয়া যায়।
ভিডিওটি থেকে কি-ফ্রেম কেটে নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ২০১৯ সালের ২৭ জুলাই 'NTG Creative' নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে 'Dumbur Band' শিরোনামে প্রকাশিত আলোচ্য ভিডিওটির মত হুবহু একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটি দেখুন--
এছাড়া, ভিডিওটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, বাঁধ দিয়ে আগ্রাসীভাবে পানি বের হচ্ছে না বরং স্বাভাবিক পানি প্রবাহ লক্ষ্য করা যায়।
অর্থাৎ আলোচ্য ভিডিওটি সম্প্রতি ভারতের ডাম্বুর বাঁধ উন্মুক্ত করে দেওয়ার সময়ে ধারণ করা হয়নি বরং ২০১৯ সাল থেকেই আলোচ্য ভিডিওটি ইন্টারনেটে খুঁজে পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য ভারত থেকে নেমে আসা পানিতে বাংলাদেশের ফেনী, কুমিল্লা, খাগড়াছড়ি ও নোয়াখালী সহ আশপাশের এলাকায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী স্মরণকালে এমন ভয়াবহ বন্যা এসব অঞ্চলে দেখা দেয়নি। এই বন্যার জন্য সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহারকারীরা ও সরকারের তরফ থেকে কেউ কেউ ভারতের ডাম্বুর বাঁধ সহ বিভিন্ন বাঁধ আকস্মিক খুলে দেয়া ও বাংলাদেশের সাথে দেশটির অসহযোগীতামূলক আচরণকে দায়ী করছেন।
সুতরাং ডাম্বুর বাঁধের অন্তত ৫ বছরের পুরোনো একটি ভিডিওকে সাম্প্রতিক দাবি করে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে যা বিভ্রান্তিকর।