সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, কিছু সময়ের জন্য পাক-আফগান সীমান্ত খুলে দেয়ার পর আফগানিস্তান থেকে দলে দলে দেশটির নাগরিকেরা পাকিস্তানে প্রবেশ করছে। ভিডিওটিতে অসংখ্য মানুষকে দৌঁড়ে কোথাও যেতে দেখা যাচ্ছে। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ২৯ আগস্ট 'আমি মেঘনাথ' নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিওটি পোস্ট করে বলা হয় "কিছুক্ষণের জন্য পাকিস্তানি আধিকারিকরা আফগানিস্তান পাকিস্তান সীমান্ত খুলে দেওয়ার পরের দৃশ্য...ভিডিওতে কোন মহিলা ও শিশুদের দেখতে পাচ্ছেন"। অর্থাৎ বর্তমান প্রেক্ষাপটে এমন পোস্টে স্বাভাবিকভাবেই মনে হচ্ছে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পরের ঘটনা এটি।
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ভিডিওটি এক বছর পুরোনো।
ভিডিওটির কি-ফ্রেম নিয়ে সার্চ করার পর, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের ইউটিউব চ্যানেলে ২০২০ সালের ৮ এপ্রিল (বুধবার) ভিডিওটি পোস্ট করতে দেখা গেছে। ভিডিওটির বর্ণনায় লেখা আছে,
"Thousands of Afghan streamed across the Pakistan border to their homeland on Tuesday overwhelming authorities who had opened the frontier after more than two weeks of restrictions to stop the spread of Covid-19. Video from the Torkham border crossing near the Khyber Pass showed large crowds of Afghans running through, apparently bypassing official attempts to check paperwork and enforce quarantine.
অর্থাৎ দ্য টেলিগ্রাফের বর্ণনা অনুযায়ী, তৎকালে করোনা সংক্রান্ত বিধি-নিষেধের ফলে দীর্ঘদিন সীমান্ত বন্ধ থাকার পর পুনরায় পাক-আফগান সীমান্ত খুলে দিলে পাকিস্তানে আটকে পরা আফগান নাগরিকরা খাইবার পাসের পার্শ্ববর্তী তোরখাম সীমান্ত দিয়ে এভাবেই হুড়োহুড়ি করে নিজ দেশ আফগানিস্তানে প্রবেশ করছিল। প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র যাচাই ও কোয়ারেন্টাইনের বিষয়টি চেক করতে দৃশত কর্মকর্তারা চেষ্টা চালাচ্ছিলেন।
ইউটিউব ভিডিওটি দেখুন
এর সূত্রধরে বিস্তারিত সার্চ করলে, বিবিসির উর্দু সার্ভিসের টুইটার হ্যান্ডেলেও ভিডিওটি একই তথ্যসহ পোস্ট করতে দেখা গেছে। অর্থাৎ ভিডিওটি সাম্প্রতিক নয় এবং আফগান নাগরিকরা পাকিস্তানেও এভাবে দৌড়ে প্রবেশ করছেন না বরং নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছেন।
এ সংক্রান্ত খবর দেখুন এখানে। তোরখাম সীমান্তের জিও লোকেশন দেখুন এখানে। এছাড়া পাকিস্তানের প্রভাবশালী ইংরেজি গণমাধ্যম দ্য ডনের অনলাইন ভার্সনে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত খবরটির স্ক্রিনশট দেখুন--
সুতরাং এক বছর পুরানো ভিডিও নতুন করে বিভ্রান্তিকর দাবিতে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে।