সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি ছবি দিয়ে দাবি করা হচ্ছে, সৌদি আরবে আবারও বাংলাদেশি হাফেজ কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে। দেখুন এমন তিনটি পোস্টের লিংক এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ৯ মার্চ 'News Day' নামের ফেসবুক পেজ থেকে একটি ছবি পোস্ট করা হয় যেখানে একজন কিশোরকে পুরষ্কার গ্রহণ করতে দেখা যায়। ছবিটির ক্যাপশনে বলা হয়, ব্রেকিং নিউজ, সৌদি আরবে আবারো বাংলাদেশি হাফেজ প্রথম স্হান অর্জন করেছেন!। দেখুন সেই পোস্টটির স্ক্রিনশট--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ছবিটি সাম্প্রতিক নয়। একাধিক মূলধারার গণমাধ্যমে ছবিটি প্রকাশিত হতে দেখা গেছে। ২০১৭ সালের ১৭ জুন 'দুবাই বিশ্ব কুরআন প্রতিযোগিতায় -হাফেজ ত্বরিকুলের প্রথম স্থান লাভ' শিরোনামে দৈনিক ইনকিলাবের একটি প্রতিবেদনে সেই ছবিটি পাওয়া গেছে। সেখানে বলা হয়েছে, দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ২১তম দুবাই হলি কুরআন এ্যাওয়ার্ড প্রতিযোগিতায় ১০৩ টি দেশের প্রতিযোগিদেরকে পরাজিত করে বৃহস্পতিবার ১ম স্থান অর্জন করেছে হাফেজ ত্বরিকুল ইসলাম। পুরস্কার হিসেবে তিনি বাংলাদেশি টাকায় ৬০ লক্ষ টাকা এবং সনদ গ্রহণ করেন। দেখুন--
পরদিন অর্থাৎ ২০১৭ সালের ১৮ জুন একই খবর প্রকাশ করে প্রথম আলো অনলাইনে ইংরেজি ভার্সনে। সেখানেও একই ছবি পাওয়া গেছে, যার ক্যাপশনে বলা হয়েছে, পুরষ্কার গ্রহণ করছেন ত্বরিকুল ইসলাম। দেখুন--
খবরটি পড়ুন এখানে। তবে সেখানে ছবির উৎস হিসেবে গালফ নিউজের সূত্র উল্লেখ আছে।
পরবর্তীতে গালফ নিউজে খোঁজ করেও একই ছবি পাওয়া গেছে। ২০১৭ সালের ১৫ জুন 'Bangladeshi boy, 13, wins Dubai Quran Award' শিরোনামে একটি খবর প্রকাশ করে গালফ নিউজ। দুবাই এর শায়খ আহমাদ বিন মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাখতুমের কাছ থেকে পুরষ্কার নিচ্ছেন হাফেজ ত্বরিক। ছবিটির ফটোগ্রাফার ছিলেন আতিকুর রহমান। দেখুন--
গালফ নিউজের খবরটি পড়ুন এখানে।
তবে খোঁজ করে সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক হিফজ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের হাফেজের প্রথম হওয়ার একটি খবর পাওয়া গেছে। দৈনিক যুগান্তর অনলাইনের একটি খবরমতে, ইরানের রাজধানী তেহরানের আন্দিশাহ (আল-ফিকির) হলে গত ৫ মার্চ সপ্তাহব্যাপী হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের হাফেজ সালেহ আহমাদ তাকরীম প্রথম হয়েছে। অর্থাৎ আয়োজনটি হয়েছে ইরানে, পোস্টে দাবিকৃত সৌদি আরবে নয়। দেখুন--
দেখুন যুগান্তরের খবরটি এখানে।
অর্থাৎ ২০১৭ সালে দুবাইয়ে কুরআন হিফজ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি হাফেজের প্রথম হওয়ার পুরোনো ছবি ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়া হচ্ছে।