সামাজিক মাধ্যমে একাধিক প্রোফাইলে একটি নারীর ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, ছবিটি সৌদি আরবের একজন নারীর এবং গণধর্ষিত হওয়ার পর তাকে বেত্রাঘাত এবং কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। দেখুন এমন কিছু পোস্ট এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
গতকাল ৭ মার্চ Zafar Wazed নামের আইডি থেকে একটি ছবি পোস্ট করা হয় যেখানে একজন নারীকে আঘাত করতে দেখা যাচ্ছে কিংবা শাস্তি দেয়া হচ্ছে। ছবির ক্যাপশনে দাবি করা হচ্ছে, ছবিটি সৌদি আরবের একজন নারীর যিনি গণধর্ষিত হওয়ার পর তাকে ২০০ বেত্রাঘাত এবং ৬ মাসের কারাদন্ড দিয়েছে তাদের সৌদি সরকার। দেখুন পোস্টটির একটি স্ক্রিনশট--
ছবিটি একই বর্ণনাসহ ২০১৫ সালেও বেশ ভাইরাল হয়। দেখুন এমন একটি স্ক্রিনশট--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ অনুসন্ধান করে দেখেছে, ছবিটি সৌদি আরবের নয় এবং ছবির নারীটি গণধর্ষণের শিকারও নন।
রিভার্স ইমেজ সার্চিং টুল ব্যবহার করে ছবিটি একাধিক আন্তর্জাতিক একাধিক খবরমাধ্যমে পাওয়া গেছে। ২০১১ সালে প্রকাশিত হাফপোস্ট পত্রিকার একটি খবরমতে, ছবিটি ইন্দোনেশিয়ার। সংবাদটিতে বলা হয়, ইরদাভান্তি মুখতার নামের একজন নারীকে পরকীয়ার অভিযোগে ৯টি চাবুকের আঘাতের শাস্তি দেয় সেখানকার অর্থাৎ ইন্দোনেশিয়ার আদালত। দেখুন সেই খবরের একটি স্ক্রিনশট--
এ সংক্রান্ত আরো কিছু খবর দেখুন ইউকেভিত্তিক ডেইলি মেইল এবং মিররের দুটি খবরে।
একজন নারীকে প্রকাশ্য শাস্তি দেয়ার এই ছবিটি তুলেছিলেন CHAIDEER MAHYUDDIN। গেটি ইমেজে দেয়া তার বর্ণনামতে, ছবিটি ২০১১ সালের ৮ এপ্রিলের। সেখানেও বলা হয়, মূলত বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক থাকার অভিযোগেই সেই নারীকে শাস্তির মুখোমুখি করে দেশটির আদালত। দেখুন-
অর্থাৎ ইন্দোনেশিয়ার শরিয়া আদালতের ২০১১ সালের পরকীয়ার শাস্তি প্রদানের ছবিকে সৌদি আরবের গণধর্ষিত হওয়ার পরের শাস্তির ছবি হিসেবে দাবি করা বিভ্রান্তিকর।