সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে সম্প্রতি ছাত্রলীগের দু'পক্ষের মধ্যকার সংঘর্ষের খবরের সাথে একটি ছবি প্রচার করা হচ্ছে। ছবিটিতে একাধিক ব্যক্তিকে পুলিশের সামনে অস্ত্র হাতে সংঘর্ষে লিপ্ত হতে দেখা যাচ্ছে। দেখুন এমন কিছু পোস্ট এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ৪ ডিসেম্বর 'Nabadut News' নামের ফেসবুক পেজ থেকে ছবিসহ একটি খবর পোস্ট করা হয়। যেখানে বলা হয়, ছাত্রলীগের ৭৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠনটির দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সহ প্রায় ১০ জন আহত হয়েছে। পরে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আসে। দেখুন সেই পোস্টটির স্ক্রিনশট--
এরকম আরেকটি পোস্ট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, খবরের সাথে ব্যবহৃত সংঘর্ষের ছবিটি পুরোনো। একই ছবি ২০১৫ সালে মূলধারাসহ একাধিক খবরমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। ২০১৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন অনলাইনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের সাথে ছবিটি প্রকাশ পায়। 'চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগ-শিবির সংঘর্ষ, গুলি' শিরোনামের সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের শহীদ মিনারে ফুল দিতে এসে শিবিরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় ছাত্রলীগ। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুই ছাত্রলীগ কর্মী এবং একজন শিবির কর্মী আহত হন। দেখুন সেই প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট--
প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে।
তবে এর আগে ১৬ ডিসেম্বর 'বাংলা টেলিগ্রাফ' নামক একটি অনলাইন পোর্টালে একাধিক ছবির সাথে সেই ছবিটি পাওয়া গেছে। 'চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগ-শিবির সংঘর্ষ' শিরোনামে সেই খবরটি ছবিসহ দেখুন--
সেই প্রতিবেদনে একই ঘটনার আরেকটি ছবি দেখুন--
একই ঘটনার আরেকটি ছবি প্রকাশিত হয়েছিল দৈনিক ইত্তেফাকের অনলাইন ভার্সনে। দেখুন--
দৈনিক ইত্তেফাকে প্রকাশিত ছবিটি দেখুন এখানে।
অর্থাৎ চট্টগ্রামে ২০১৫ সালে ঘটা ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগের মধ্যকার সংঘর্ষের ছবিকে ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবরের সাথে প্রচার করা হচ্ছে, যা বিভ্রান্তিকর।