সামাজিক মাধ্যম ফেবসুকে একটি ছবি দিয়ে দাবি করা হচ্ছে এটি দুবাই এয়ারপোর্টে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের ছবি। দেখুন এমন কিছু পোস্টের লিংক এখানে, এখানে এবং এখানে।
আজ ১২ ডিসেম্বর 'মারিয়া আক্তার মিম' নামের ফেসবুক পেজ থেকে একটি ছবি পোস্ট করা হয়। ছবিতে একজন কালো পোশাক পরা ব্যক্তিকে লাগেজ সহ ফ্লোরে শুয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। সেই পোস্টে দাবি করা হচ্ছে, ছবিটি দুবাই এয়ারপোর্টে সদ্য সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের। উল্লেখ্য, নারীর প্রতি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও কয়েকটি অডিও ক্লিপ ফাঁসের ঘটনায় ডা. মুরাদ হাসানকে প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে প্রথমে কানাডার উদ্দেশ্যে রওনা হলেও সেখান থেকে তাকে ফিরিয়ে দিলে তিনি দুবাইতে চলে আসেন। দেখুন সেই পোস্টের স্ক্রিনশট-
ছবিটি আলাদাভাবে দেখুন–
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ছবিটি ডা. মুরাদ হাসানের নয়, এমনকি সাম্প্রতিক সময়েরও নয়। ২০১৮ সালে ছবিটি একাধিক উৎসে পাওয়া গেছে। রিভার্স ইমেজ সার্চিং টুল ব্যবহার করে দেখা গেছে, ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল এই ছবিটি consoglobe.com নামের একটি অনলাইন পোর্টালে পাওয়া গেছে। 'Train, planes… Collect money knowing your rights' শিরোনামে একটি ফিচারের সাথে এই ছবিটি পাওয়া গেছে। দেখুন--
লিংকটি দেখুন এখানে।
এছাড়া একই সময়ে ছবিটি তাদের টুইটার হ্যান্ডেলেও পাওয়া গেছে। দেখুন–
🚄 🛫#Retard, #annulations ? N'oubliez pas de réclamer #compensation : c'est votre #droit ! https://t.co/i7Cqhpb3vb#train #avion #droitsdespassagers #Astuces #Voyages #indemnisations pic.twitter.com/uhDb73IGTY
— consoGlobe.com (@consoglobe) April 30, 2018
সুতরাং ছবিটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। তবে ছবিটির ফটোগ্রাফার বা তথ্যসুত্রের কোনো উল্লেখ নেই তাদের ওয়েবসাইট এবং টুইটার হ্যাণ্ডেলেও।
পরবর্তীতে আরও খোঁজ করে ছবিটি 'শাটারস্টক' এ পাওয়া গেছে। সেখানে ছবির ফটোগ্রাফারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে (Chanyanuch Wannasinlapin)। এছাড়া সেই ছবির ক্যাপশনে বলা হয়, ফ্লাইট বিলম্ব হওয়ায় একজন ব্যক্তি এয়ারপোর্টে শুয়ে আছেন। তবে ছবিটি ঠিক কবে কখন তোলা সে বিষয়ে কিছু উল্লেখ নেই সেখানে। এ ব্যাপারে উক্ত ফটোগ্রাফারারকে বার্তা দেয়া হলেও এর উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি। দেখুন সেই ছবিটি এখানে--
লিংকটি দেখুন এখানে।
তবে ছবিটির সাথে সদ্য পদত্যাগকৃত প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের কোনো সম্পর্ক নেই সেটি নিশ্চিত।
অর্থাৎ ভিন্ন ঘটনার একটি পুরোনো ছবিকে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বলে দাবি করা অসত্য।