গত দুই সপ্তাহ ধরে কিছু অনলাইন পোর্টালে ''ঝাঁপিয়ে পড়ে পবিত্র কুরআন রক্ষা, যুবককে 'হিরো অব দ্যা মুসলিম' উপাধি!'' শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। এমন কয়েকটি পোর্টালে খবরটি দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
খবরটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া খবরটিতে বলা হয়েছে--
'ঝাঁপিয়ে পড়ে পবিত্র কুরআন রক্ষা, যুবককে 'হিরো অব দ্যা মুসলিম' উপাধি! নরওয়েতে পবিত্র কোরআন জ্বা'লিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে জনসম্মূখে তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কোরআনকে রক্ষা করে 'হিরো অব দ্যা মুসলিম' বলে সোশ্যাল মিডিয়া প্রশংসিত হয়েছেন ইলিয়াস নামের এক যুবক।
জিও নিউজের বরাতে জানা যায়, স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের সতর্কতা সত্ত্বেও ক্রিস্টিয়ানস্যান্ড শহরে পবিত্র কোরআন পু'ড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে থারসন নামের এক অমুসলিম।''
ফ্যাক্ট চেক:
আলোচ্য খবরটি সম্পর্কে ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করে জানা গেছে এটি একটি পুরোনো খবর। ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি নরওয়েতে Lars Thorsen এক ব্যক্তি কর্তৃক পবিত্র কুরআন অবমাননা ও ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ একজন মুসলিম যুবক (যার নাম ইলিয়াস হিসেবে প্রথমে প্রচারিত হলেও পরে জানা যায় তার নাম কুসাই রশীদ) Lars Thorsen-কে লাথি মেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
তার পরের কয়েক দিন ধরে এ সংক্রান্ত খবর নরওয়ে ও মুসলিম বিভিন্ন দেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
বাংলাদেশে গত কয়েকদিনে ভাইরাল হওয়া খবরটি ২০১৯ সালেও প্রকাশিত হয়েছে বেশ কিছু পোর্টালে।
জিও নিউজে যে প্রতিবেদনের বরাতে বর্তমানে এটি প্রকাশিত হচ্ছে সেটিও ২০১৯ সালের ২২ নভেম্বর প্রকাশিত হয়। জিও নিউজের প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে।
প্রায় সাত মাস পুরোনো খবর সঠিক হলেও এটি নতুন করে প্রচার করা বিভ্রান্তিকর।