বর্তমানে দেশব্যাপী ধর্ষণের ঘটনা বেড়ে যাওয়া এবং এর প্রেক্ষিতে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন চলার মধ্যেই ফেনীতে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টাকালে একজনের জিহবা কেটে নেয়ার একটি খবর সামাজিক মাধ্যমসহ কিছু অনলাইন পোর্টালে ছড়িয়েছে। এরকম কিছু খবর দেখুন এখানে ও এখানে।
যুবকন্ঠ নামক একটি অনলাইনে ৬ অক্টোবর, ২০২০ এমন একটি প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ''দাগনভূঞায়ায় জোর করে এক গৃহবধুকে ধর্ষণের চেষ্টাকালে আনিছ (২৬) নামে এক বখাটে যুবলীগ কর্মীর জিহ্বা কর্তনের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাতে উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের পূর্বরামচন্দ্রপুর গ্রামের আমিন উদ্দিন মুন্সি বাড়ীতে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর দাগনভূঞা থানার পুলিশ আনিসকে পলাতক অবস্থায় গ্রেফতার করেছে। আনিস একই এলাকার আইন উদ্দিন ভূঞা প্রকাশ চোকিদার বাড়ী প্রকাশ আইন উদ্দিন মুহুরীবাড়ীর মো: ইদ্রিসের বখাটে ছেলে ও স্থানীয় যুবলীগের স্বক্রিয় একজন কর্মি।''
ফ্যাক্ট চেকঃ
অনুসন্ধানে দেখা গেছে এই খবরটি মূলত ২৭ এপ্রিল ২০১৭ জাগো নিউজ এ প্রকাশিত হয়। উক্ত খবরটির শিরোনাম ছিলঃ ''গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা, যুবকের জিহ্বা কামড়ে ক্ষতবিক্ষত''।
জাগো নিউজের খবরে বলা হয়, ''ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় ধর্ষণের চেষ্টাকালে আনিছ (২৬) নামে এক যুবকের জিহ্বা কামড়িয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছেন এক গৃহবধূ। গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর আনিসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আনিস উপজেলার পূর্ব রামচন্দ্রপুর গ্রামের আইন উদ্দিন মুহুরী বাড়ির মো. ইদ্রিসের ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, আনিস মাদকাসক্ত ও ছিনতাইসহ বিভিন্ন অসামাজিক কাজে লিপ্ত। ওই গৃহবধূকে প্রায় উত্ত্যক্ত করতেন তিনি। বুধবার রাত দেড়টার দিকে স্বামীর অনুপস্থিতিতে জানালা খুলে ঘরে ঢুকে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় শক্তিতে পেরে না উঠে কৌশলে আনিসের জিহ্বা কামড়িয়ে ক্ষতবিক্ষত করে দেয় ওই গৃহবধূ। এরপর আনিস পালিয়ে যায়। দাগনভূঞা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, সকালে এলাকাবাসী ঘটনা জানতে পেরে পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আনিসকে আটক করে।''
এই খবরটি পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন পোর্টাল থেকে নতুন করে প্রকাশ করা হয়। এ বছরের এপ্রিলেও এটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছিল।
তাই, ২০১৭ সালের পুরনো খবরকে নতুন করে ছড়ানো বিভ্রান্তিকর।