সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি অনলাইন পোর্টালের লিংক পোস্ট করে বলা হচ্ছে, মাত্র ১৪ বছরে বয়সেই একটি ব্যাংকের মালিক হয়েছেন এক কিশোর। এখানে ও এখানে।
গত ১৯ জুলাই 'প্রিয় বাংলা' নামের একটি ফেসবুক পেজে একটি খবরের লিংক পোস্ট করে বলা হয়, 'মাত্র ১৪ বছরেই ১টি ব্যাংকের মালিক এই কিশোর!'। হুবহু একই রকম শিরোনামে গত ২১ জুন প্রকাশিত এই খবরটির বিস্তারিত অংশে বলা হয়, জোসে অ্যাডলফো কুইসোকালা কন্ডোরি নামে পেরুর এক কিশোর 'বার্টসেলানা স্টুডেন্টস ব্যাংক' নামের একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছে। খবরটিতে আরো বলা হয়, ব্যাংকটিতে এই মুহুর্তে ২ হাজারের মত গ্রাহক এবং ৮ জন কর্মকর্তা আছে। এছাড়া খবরটির উৎস হিসেবে 'ডেইলি বাংলাদেশ' নামক একটি অনলাইন পোর্টালের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। দেখুন ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট--
পোস্টটির আর্কাইভ ভার্সন দেখুন এখানে।
এছাড়া প্রতিবেদনটির আর্কাইভ অংশ দেখুন এখানে।
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, খবরটি পুরোনো। মূলত ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে পেরুর ওই কিশোরের ব্যাংক মালিক হওয়ার খবরটি প্রকাশিত হয়েছিল। প্রভাবশালী বৃটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ান পত্রিকায় ২০১৯ সালের ৩১ মে কিশোর কুইসোকালা'র নিজ উদ্যোগে ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। 'The green bank for kids - set up by a child' শিরোনামের ওই খবরে বলা হয়, এরইমধ্যে তিনি তাঁর ব্যাংকে ১০ থেকে ১৮ বছর বয়সী প্রায় ২ হাজার গ্রাহক পেয়েছেন। এছাড়া ইউনিসেফসহ একাধিক প্রভাবশালী সংস্থা থেকে তাঁর কাজের স্বীকৃতি দিয়েছেন। ২০১৯ সালে গার্ডিয়ানে প্রকাশিত প্রতিবেদনটির স্ক্রিনশট দেখুন এখানে--
এছাড়া একই বছর চীনাভিত্তিক সিজিটিএন(চায়না গ্লোবাল টিভি নেটওয়ার্ক) ১৪ বছর বয়সী পেরুর সেই কিশোরের ব্যাংক পরিচালনার খবরটি প্রকাশিত হয়েছিল। দেখুন ২০১৯ সালের ১৭ জুন সিজিটিএনে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি এখানে--
দেখুন এই প্রতিবেদনটি এখানে।
তাছাড়া এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের সাথে একটি ভিডিও প্রকাশ করে সিজিটিএন। দেখুন সেই ভিডিওটি--
অর্থাৎ ২০১৯ সালের পেরুর এক কিশোরের ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা করার পুরোনো খবরকে অপ্রাসঙ্গিকভাবে নতুন করে প্রকাশ করা হচ্ছে; যা বিভ্রান্তিকর।