সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি খবর শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, খালেদা জিয়াকে চিঠি দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার এবং জাপানের রাষ্ট্রদূত। দেখুন এমন কয়েকটি খবরের লিংক এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি 'মীম আক্তার' নামের ফেসবুক গ্রুপে একটি খবর পোস্ট করে বলা হয়, 'খালেদা জিয়াকে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের ও জাপানের রাষ্ট্রদূত এর, চিঠি'। হুবহু একই শিরোনামে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ডেটলাইনে প্রকাশিত সেই খবরের বিস্তারিত অংশে বলা হয়, খালেদা জিয়া'র কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ পেয়ে শারীরিক সুস্থতা কামনা করে মঙ্গলবার জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং বুধবার পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী পত্র পাঠিয়েছেন। দেখুন সেই খবর ও ফেসবুক পোস্টের লিংক--
খবরটির বিস্তারিত অংশের স্ক্রিনশট--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দুই রাষ্ট্রদূতের চিঠি দেয়ার খবরটি সাম্প্রতিক নয়। একাধিক উৎস থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে, খবরটি গত বছরের। ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে দৈনিক যুগান্তর অনলাইনে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছিল যার শিরোনাম ছিল, 'খালেদা জিয়াকে জাপানের রাষ্ট্রদূত ও পাকিস্তানের হাইকমিশনারের চিঠি'। খবরটিতে বলা হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি ও পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী চিঠি পাঠিয়েছেন। বিএনপি চেয়ারপার্সন-এর একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুর সাত্তারের বরাত দিয়ে খবরটি নিশ্চিত করা হয়। দেখুন--
একই খবর প্রকাশ করেছে দৈনিক মানবজমিন অনলাইন। সেখানে চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খানের বরাতে খবরটি জানানো হয়েছে। দেখুন–
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১১ এপ্রিল বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেসময়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিবিসি বাংলাকে এ খবর নিশ্চিত করেছিলেন। দেখুন বিবিসির খবরটি--
বিবিসির খবরটি পড়ুন।
এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে খালেদা জিয়ার নতুন করে করোনাক্রান্ত হওয়ার কোনো খবর গণমাধ্যমে পাওয়া যায়নি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত খালেদা জিয়া দুই মাস ২১ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর তার গুলশানের বাসায় ফিরেছেন। দেখুন এ সংক্রান্ত একটি খবর--
খবরটি পড়ুন এখানে।
অর্থাৎ ২০২১ সালে খালেদা জিয়ার করোনাক্রান্ত হওয়ার পর জাপান এবং পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতের পত্র দেয়ার পুরোনো খবর নতুন দিন-তারিখ দিয়ে প্রকাশ করা হচ্ছে, যা বিভ্রান্তিকর।