'হযরত আলী (রা.) এর মাজার জিয়ারত করতে এসে আল্লাহর রহমতে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেল এই অন্ধ শিশু' শিরোনামে একটি খবর সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন প্রোফাইল ও গ্রুপে পোস্ট করা হচ্ছে। পোস্টের সাথে সংশ্লিষ্ট ছবিতে এক ব্যক্তির সাথে একটি শিশুকে দেখা যায়। দেখুন এখানে ও এখানে।
এরকম আরেকটি পোস্ট দেখুন এখানে।
ফ্যাক্ট চেক:
ফেসবুকে ছড়ানো খবরে শিশুর দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার ঘটনার কোন সময় উল্লেখ করা হয়নি। সেখানে লেখা আছে-
'হযরত আলী (রা.) এর মা'জা'র জি'য়া'রত করতে এসে আল্লাহর রহমতে দৃ'ষ্টি'শ'ক্তি ফিরে পেল এই অ"ন্ধ শি'শু! ১০ই ম'হ'ররম পবিত্র আ'শুরা'র দিনে ইমাম আলী (রা.) এর মাজার যে'য়া'রত করতে এসে দৃ'ষ্টি শ'ক্তি ফিরে পেয়েছে ইরাকি এক শি"শু।
'ফাতেমা আলী' (৯) নামক ইরাকের নাজাফ শহরের বা'সি'ন্দা ঐ শিশু আশুরার দিন তার বাবা-মায়ের সাথে আ'যাদা'রী পালন করতে আমিরুল মু'মিনীন আলী ইবনে আবি তালিব (রা.) এর মাজারে এসেছিল। হ"ঠাৎ সে অনু'ভব করে যে, কে যেন তার কানে
আদর করছে, এরপর সে মাজারের বা'তীগুলো 'দে'খতে পায়। আর এভাবেই সে তার দৃ'ষ্টি শ'ক্তি ফিরে পেয়েছে।ইমাম আলী (রা.) এর মাজারের বি'শে'ষ টি'ম গত ২৮ অক্টোবর এ ঘ'ট'নার স'ত্য'তার বিষয়ে ত'দ'ন্তের পর 'ফাতেমা আলী'র মে'ডি'কেল রি'পো'র্ট গ'ণমা'ধ্য'মের সামনে প্র'কাশ করেছে। -বার্তা সংস্থা আবনা।'
বুম বাংলাদেশ বাংলায় কোন মূলধারার সংবাদমাধ্যমে এরকম কোন খবর খুজে পায়নি।
দ্বিতীয়ত: উপরোক্ত খবরে যেহেতু 'বার্তা সংস্থা আবনা'র সূত্র উল্লেখ করা হয়েছে তাই আবনার খবরটি বের করে দেখা যায় সেখানে ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর খবরটি প্রকাশ করা হয়। তাদের খবর থেকেই মূলত অনলাইন পোর্টালগুলো হুবহু কপি করে বিভিন্ন শব্দের মধ্যে এখন বাড়তি কিছু যতি চিহ্ন যোগ করে প্রকাশ করছে।
উল্লেখ্য, আবনা হলো আহলে বাইত বার্তা সংস্থা নামে নামের ইরান ভিত্তিক একটি পোর্টাল এবং তাদের ওয়েবসাইটের 'অ্যাবাউট' অংশে নিজেদের শিয়া মুসলমানদের আওয়াজ তুলে ধরার জন্য একটি মাধ্যম বলে দাবি করে।
খবরটির সত্যতা ভিন্ন উপায়ে নিরূপনের জন্য বুম বাংলাদেশ ইংরেজ কীওয়ার্ড ও ব্যবহৃত ছবি দিয়ে সার্চ করে দেখতে পায় যে এই খবরটি ইরান ভিত্তিক কিছু অনলাইন পোর্টালে ফারসি ভাষায় এসেছে। ইরানের মূলধারার অথবা ইংরেজী কোন সংবাদ মাধ্যমে খবরটি আসেনি। ফলে এর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।
তবে এটা সত্য যে এই খবরটি চার বছরের পুরনো।