১২ মে কুমিল্লার স্থানীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়ে, "কুমিল্লাং অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে বিয়ে করলেন ৬৫ বছরের বৃদ্ধ !" এরকম দুটি প্রতিবেদন দেখুন এখানে ও এখানে।
এর পর জাতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমেও এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়।
জাগোনিউজ এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "গত ১০ মে জেলার লালমাই উপজেলার পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়নের পেরুল গ্রামের শামছুল হক শামু একই গ্রামের পশ্চিম পাড়ার ইমাম হোসেনের মেয়ে মরিয়ম আক্তারকে ৫ লাখ টাকা দেনমোহর ও ১ লাখ টাকা উসুল দিয়ে বিয়ে করেন। মরিয়ম আক্তার স্থানীয় পেরুল উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলে যাওয়া আসার সময় সে শামুর রিকশায় যাতায়াত করতো।"
এরই মধ্যে খবরটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
এদিকে পাল্টা আরেকটি দাবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে বলা হয়েছে, শামু এবং মরিয়ম স্বামী-স্ত্রী নয়, তারা বাবা-মেয়ে।
ফ্যাক্ট চেক:
Boom Bangladesh স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে জানার জন্য।
স্থানীয় দক্ষিণ পেরুল ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মাকসুদুর রহমান জানান, শামসুর রহমান শামু এবং মরিয়ম সম্প্রতি বিয়ে করেছেন এবং তাদের যাবতীয় নথি পরিষদ কার্যালয়ে সংরক্ষিত আছে।
তাদের পরিচয় ও বিয়ে সংক্রান্ত নথির কপি চাইলে তিনি জানান, লকডাউনের কারণে তারা সীমিত পরিসরে অফিসে যাচ্ছেন। আজ বৃহস্পতিবার অফিস বন্ধ; আগামী রোববার দিতে পারবেন।
তিনি আরও জানান, মরিয়ম আক্তারের বাবার নাম ইমাম হোসেন। তাদের গ্রামের নাম পূর্ব পেরুল।
পরিষদ সচিব মাকসুদুর রহমানের কাছ থেকে মরিয়মের জন্ম নিবন্ধন (20021913383014450) নম্বর সংগ্রহ করা হয়। এটি দিয়ে বাংলাদেশ সরকারের জন্মনিবন্ধন অনলাইন ডাটাবেজে সন্ধান করে দেখা যায়, মরিয়মের জন্ম তারিখ ২০০২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি।
তবে মরিয়মের বাবা-মায়ের নাম ডাটাবেজে দেয়া নেই। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ইউনিয়ন পরিষদ সচিব বলেন, যারা এসব নাম এন্ট্রি দিয়ে থাকেন তারা অনেক সময় ভুলে বা তাড়াহুড়ো করে অনেক তথ্য দেয়া ছাড়াই এন্ট্রি করে ফেলেন।
ইতোমধ্যে মরিয়ম নিজেই জানিয়েছেন তিনি শামুকে বিয়ে করেছেন- এমন ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন স্থানীয় এক ব্যক্তি।
বিয়ে নিয়ে শামুর স্বীকারোক্তির ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছে।