সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি, পেজ ও গ্রুপে ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার নেইমারের কিছু ছবি পোস্ট করে বলা হচ্ছে, ক্যাসিনোতে এক মিলিয়ন ইউরো খুইয়েছেন নেইমার। এরকম কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ৩০ মার্চ '⚽ ব্রাজিলিয়ান পাগলাগারদ 🇧🇷' নামের একটি পাবলিক গ্রুপে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার নেইমারের দুটি ছবি পোস্ট করে বলা হয়, "ব্রেকিং! জুয়াড়ী নেইমার 🫡 গত রাতে অনলাইন ক্যাসিনো সেশনে এক মিলিয়ন ইউরো হারিয়েছেন! 🤯 বাংলাদেশী টাকায় ১১ কোটি ৫৮ লাখ ২১ হাজার ৭৯৬ টাকা ৪০ পয়সা) বসের অবস্থা খারাপ সবাই বিকাশে টাকা পাঠিয়ে বসের মন শান্ত করে দাও"। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য পোস্টের দাবিটি সঠিক নয়। নিজের স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের প্রচারণার উদ্দেশ্যে ওই ভিডিওটির অবতারণা করেন নেইমার।
কি-ওয়ার্ড সার্চ করে গোল ডটকমের ওয়েবসাইটে 'WATCH: ‘Oh f*ck’ – PSG superstar Neymar loses €1 million playing online poker' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায় । ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, নেইমার একটি বড় আর্থিক আঘাত পাওয়ার পরে কান্নার ভান করছিলেন, কিন্তু তারপরেও তার মুখে হাসিও ছিল কারণ সহকর্মীরা তাকে "৬০ মিনিটের মধ্যে মিলিয়ন থেকে শূন্য" বলে উপহাস করেছিল। নেইমার রসিকতা করে (লাইভ ভিডিওতে) বলছিলেন যে তিনি এটি ইউটিউবে প্রকাশ করতে যাচ্ছেন। স্ক্রিনশট দেখুন--
আরো সার্চ করে talksport.com নামে একটি ওয়েবসাইটে 'Neymar ‘loses €1million’ in online poker and fake cries before laughing and saying: ‘I’m going to put this on YouTube’ শিরোনামে আরেকটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজের টুইচ প্ল্যাটফর্মে মাঝেমাঝেই অনলাইন গেমস খেলেন নেইমার। তবে ওই প্রতিবেদনে ব্রাজিলিয়ান গণমাধ্যম গ্লোবো এসপোর্তের বরাত দিয়ে তারা জানায়, এইবারের ঘটনাটি সেরকম কিছু নয়। স্ক্রিনশট দেখুন--
ওই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে গ্লোবো এসপোর্তের ওয়েবসাইটে গিয়ে 'Neymar diz ter perdido 1 milhão de euros em site, e assessoria afirma que foi ação de marketing' শিরোনামের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ওই ভিডিওটি অনলাইন জুয়াড়ি প্রতিষ্ঠানের একটি মার্কেটিং পলিসি ছিল। নেইমারের উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ওই অনলাইন গেমসে নেইমারের কোনো টাকা বিনিয়োগ করা ছিল না। বরং, ওই ভিডিওর মাধ্যমে তিনি এটাই বুঝাতে চেয়েছেন যে, সাধারণ জুয়াড়িদের চেয়ে বড় বড় জুয়াড়িরাও অনেক বেশী হারান। এবং এভাবে আসলে আরো বেশি বেশি মানুষকে এর সাথে যুক্ত করা যায়। উল্লেখ্য এবছরের জানুয়ারিতে বেটিং প্রতিষ্ঠান ব্লেজের সাথে যুক্ত হন নেইমার। স্ক্রিনশট দেখুন--
সুতরাং নেইমারের অনলাইন গেমসের মাধ্যমে জুয়া খেলে এক মিলিয়ন ইউরো খোয়ানোর দাবি প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।