সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি খবর শেয়ার করে বলা হচ্ছে, তুরস্কের কোরআন প্রতিযোগীতায় প্রথম হলেন বাংলাদেশি হাফেজ মুগনিউল হাসান। দেখুন এমন কিছু পোস্ট এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর 'সময় 24 ঘন্টা সংবাদ' নামের ফেসবুক গ্রুপে একটি খবর প্রকাশ করা হয় যার শিরোনাম, 'তুরস্কে কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি হাফেজ প্রথম'। ২ সপ্তাহ আগে প্রকাশিত খবরটির বিস্তারিত অংশে দেখা যায়, তুরস্কের আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা (আইএইচএইচ) আদানা শাখা ও 'চুকুরোভা ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যুডেন্ট এসোসিয়েশন' এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই কিরাত প্রতিযোগিতায় ৩০ টি দেশের মধ্যে প্রথম হন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হাফেজ মুগনিউল হাসান। দেখুন সেই খবরটির স্ক্রিনশট--
দেখুন খবরটির বিস্তারিত অংশের স্ক্রিনশট--
আর্কাইভ ভার্সন পড়ুন এখানে।
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, তুরস্কের কোরআন প্রতিযোগীতায় বাংলাদেশের হাফেজ হাসানের প্রথম হওয়ার খবরটি পুরোনো। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের একাধিক গণমাধ্যমে এই খবরটি পাওয়া গেছে। ২০১৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর দৈনিক যুগান্তরের অনলাইন ভার্সনে এ সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশিত হয় যার শিরোনাম, 'তুরস্কে আন্তর্জাতিক কিরাত প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক পেল বাংলাদেশের হাসান'। সেখানে হাফেজ মুগনিউল হাসানের তুরস্কের একটি প্রতিযোগীতায় মোট ৩০টি দেশের মধ্যে প্রথম হওয়ার খবরটি প্রকাশিত হয়। দেখুন স্ক্রিনশট--
খবরটিতে আরো বলা হয়, সেই প্রতিযোগীতায় দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী হুসাম আল নাফফার এবং তৃতীয় স্থান লাভ করেন মিশরের শিক্ষার্থী আহমেদ আদেল।
২০১৯ সালের একইদিনে খবরটি দৈনিক মানবজমিনেও প্রকাশিত হয়েছিল। যার শিরোনাম ছিল, 'আন্তর্জাতিক কিরাত প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক পেলেন বাংলাদেশি হাসান'। দেখুন স্ক্রিনশট--
এছাড়া দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকাতেও তৎকালে হাফেজ মুগনিউল হাসানের প্রথম হওয়ার খবরটি প্রকাশিত হয়। দেখুন এখানে।
অর্থাৎ ২০১৯ সালের একটি পুরোনো সংবাদমূল্যহীন একটি খবরকে নতুন করে প্রকাশ করা হচ্ছে, যা বিভ্রান্তিকর।