ফেসবুকে ছড়ানো একটি ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে, এইচএসসি রেজাল্ট প্রকাশ না করায় শিক্ষামন্ত্রীর উপর ক্ষেপলেন এক সাংসদ। দেখুন এমন পোস্ট এখানে এবং এখানে।
গত ২০ জানুয়ারি "Education & Environment" " নামের ফেসবুক পেজ থেকে "এইচএসসির রেজাল্ট প্রকাশ না করায় সংসদে শিক্ষামন্ত্রীর উপর ক্ষেপলেন এক এমপি" শিরোনামে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। দেখুন স্ক্রিনশট--
ভিডিওতে সংসদ অধিবেশনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির বক্তব্যের পরে ময়মনসিংহ-৮ আসনের সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামকে বক্তব্য দিতে দেখা যায়। এখন পর্যন্ত ভিডিওটিতে ২০০ এর অধিক শেয়ার এবং সাড়ে পাঁচ হাজারের বেশি রিএকশন পড়েছে।
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ভিডিওটির ক্যাপশনে যে দাবি করা হয়েছে তা বিভ্রান্তিকর।
উক্ত ভিডিওটিতে সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম এইচএসসির রেজাল্ট প্রকাশ না করা নিয়ে কোনো বক্তব্যই দেননি। তিনি মূলত তিনি সংসদে উত্থাপিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে সংসদে উত্থাপিত তিনটি বিল-এর উপর আপত্তি জানান। দেখুন এ সংক্রান্ত এমপির বক্তব্যের মূল ভিডিওটি Bangladesh Parliament-জাতীয় সংসদ নামের পেইজে।
মূল ভিডিওতে দেখা যায়, এমপি রেজাল্ট প্রকাশ না করা নিয়ে নয় ক্ষোভ প্রকাশ করেননি। বরং নিয়ম অনুযায়ী সংসদে উত্থাপনের আগে নোটিশ না পাওয়াসহ বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেন। একই সঙ্গে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বক্তব্য নিয়েও আপত্তি জানান তিনি। এ সংক্রান্ত একটি খবর দেখুন এই শিরোনামে, "এইচএসসির ফল প্রকাশে সংসদে বিল উত্থাপিত" এখানে--
জাগোনিউজ এর এই প্রতিবেদনে বলা হয়, এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সাংসদ ফখরুল ইমাম একই বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বক্তব্য 'আন্ডারমাইন অব দ্য পার্লামেন্ট'। অদ্ভুত লাগে কেবিনেট সেক্রেটারি উনি ব্যাখ্যা করছেন যে ২৮ তারিখে আমরা বিলটা পাস করে রেজাল্ট দিয়ে দেব। তিনি কীভাবে আগেই তা বলতে পারেন?"...............।
"'সচিব কীভাবে বলতে পারেন— বিলটা পাস করে দেব'" শিরোনামে আরেকটি নিউজ দেখুন।
পাশাপাশি তিনি পরীক্ষা তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে কিনা সে ব্যাপারেও প্রশ্ন রাখেন। একইসাথে জানান, বিলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তিনি এ বিলের বিরুদ্ধে নন। কিন্তু পুরো বক্তব্যের কোথাও তিনি এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ না করায় শিক্ষামন্ত্রীর উপর বিক্ষুব্ধ হয়ে বক্তব্য রাখেননি।
সুতরাং, পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে সাংসদের ক্ষোভের দাবিটি উক্ত ভিডিওতে না থাকায় ভিডিওটি ভিত্তিহীন।