"পরীক্ষায় ফেল করলে বিয়ে করা যাবে না, ২০২০ থেকে সরকারি নিয়ম" শিরোনামে একটি খবর বেশকিছু অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছে। দেখুন এখানে ও এখানে।
একই খবর এর আগে ২০১৯ সালের নভেম্বরেও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছিল।
খবরটি কোন দেশের সেটি শিরোনামে উল্লেখ করা হয়নি, যদিও খবরের সাথে সংযুক্ত ফিচার ছবিতে বাংলাদেশী ছাত্রীদের ছবি দেয়া হয়েছে। মূল খবরের ভেতরে এটিকে ইন্দোনেশিয়ার খবর হিসেবে বলা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে ছবি ও শিরোনাম দেখে বাংলাদেশী পাঠকেরা এটিকে দেশের খবর হিসেবে ধরে নেয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। অনলাইন পোর্টালগুলোর ফেসবুক পোস্টের মন্তব্য অপশনে অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী এই অভিযোগ করে মন্তব্যও করেছেন। কিছু স্ক্রীনশট দেয়া হলো।
গুগল সার্চে দেখা যায়, উক্ত খবরটি মূলত ইন্দোনেশিয়ার যা ২০১৯ সালে নভেম্বর মাসে প্রকাশিত হয়। ইন্দোনেশিয়ার জনপ্রিয় ইংরেজী সংবাদ মাধ্যম জাকার্তা পোস্টের খবর দেখুন এখানে। খবরটিতে বলা হয়, সেদেশের সরকার সেখানকার তরুন-তরুণীদের বিবাহের আগে বিবাহ-পরবর্তী জীবন সংক্রান্ত একটি সার্টিফিকেট কোর্সের আয়োজনের কথা ভাবছে। সেটিতে পাশ করলেই মিলবে বিবাহের অনুমোদন। ২০২০ সাল থেকে এটা চালু করার চিন্তাভাবনা চলছিল তখন। বিয়ে করতে ইচ্ছুক তরুণ তরুণীদের জন্য এ কোর্সটির চিন্তা করা হচ্ছিল যাতে সন্তান জন্মদান ও লালন পালন সম্পর্কিত পদ্ধতি ও স্বাস্থ্য নিয়ে শিক্ষা দেয়া হবে। এরকম আরো খবর দেখুন এখানে ও এখানে।
কিন্তু বাংলাদেশের উক্ত অনলাইন পোর্টালগুলোর শিরোনাম এবং ফিচার ফটোর সাথে মূল খবরের সম্পর্ক আংশিক, সম্পূর্ণ নয়। বিস্তারিত খবরে ইন্দোনেশিয়ার কথা উল্লেখ করলেও শিরোনামে তা না থাকায় এবং খবরের সাথে বাংলাদেশের স্থানীয় ছবি দেয়াতে খবরটি নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।