''ব্রেকিং নিউজঃ অবশেষে জিতলেন ট্রা'ম্প'' মর্মে একটি খবর বাংলাদেশ সময় বুধবার বিকালে কিছু অনলাইন পোর্টালে ও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। দেখুন এখানে। আর্কাইভ করা আছে এখানে।
খবরটিতে বলা হয়েছে, ''ব্যাটলগ্রাউন্ড খ্যাত ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে ট্রা'ম্পের জয়জয়কার। ২৯ টি ইলেক্টোরাল ভোটের রাজ্যে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রা'ম্প ৫১ দশমিক ২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জো বাইডেন পেয়েছেন ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট।
এই নির্বাচনের জয়ের পেছনে অন্যতম ভূমিকা রাখতে পারে সবচেয়ে আ'লোচিত ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য। এর আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রা'ম্পের একজন উপদেষ্টা খোলাখুলি বলেছেন, ফ্লোরিডায় বাইডেন জিতলেই খেলা শেষ। এখন অ'পেক্ষায় থাকতে হচ্ছে কি হতে যাচ্ছে। এদিকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঝুলন্ত রাজ্য ওহাইও-তে জয় ছিনিয়ে নেন ট্রা'ম্প। সেখানে তিনি ১৮টি ইলেক্টোরাল ভোট পান।এদিকে প্রাথমিক ফলাফলে ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট ট্রা'ম্পের চেয়ে এগিয়ে আছেন প্রতিদ্বন্দ্বী বাইডেন। তবে এখন পর্যন্ত পপুলার ভোটে বাইডেনের চেয়ে এগিয়ে আছেন ট্রা'ম্প।এখনো বেশ কয়েকটি রাজ্যের ফলাফলের অ'পেক্ষায় আছেন বিশ্ববাসী। কে হচ্ছেন ৪৬তম মা'র্কিন প্রেসিডেন্ট এ নিয়ে চলছে জল্পনা কল্পনা। তবে জয়ের ব্যাপারে দুই প্রার্থীই বেশ আশাবাদী।''
দেখা যাচ্ছে, প্রতিবেদনের ভেতরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শুধু ফ্লোরিডা ও ওহাইও রাজ্যের ফলাফলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ী হওয়ার তথ্য দেয়া হয়েছে। কিন্তু শিরোনামে এইসব রাজ্যের জয়ের তথ্য জানানোর পরিবর্তে শুধু "অবশেষে জিতলেন" কথাটি লেখা হয়েছে। এতে শিরোনামটি বিভ্রান্তি তৈরির সুযোগ রয়েছে।
৫১.২ শতাংশ ভোট পেয়ে ফ্লোরিডায় জয়ী হওয়ার ফলে অঙ্গরাজ্যটির ২৯ টি ইলেক্টোরাল ভোটই ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে যাবে। অন্যদিকে ৫৩.৪ শতাংশ ভোট পেয়ে ওহাইওতে জয়ী হওয়াতে অঙ্গরাজ্যটির ১৮ টি ইলেক্টোরাল ভোটই ট্রাম্প পাবেন। এই তথ্য ছাড়া মূল খবরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সার্বিক জয়ের কোন খবর কিংবা তথ্য নেই।
উল্লেখ্য, বুধবার সন্ধ্যা রাতে সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী সর্বমোট ৫৩৮ টি ইলেক্টোরাল ভোটের মধ্যে জো বাইডেন ২২৪ টি এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প ২১৩ টি ভোট পেয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দিচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার সিএনএন এর খবরের স্ক্রীনশট
সুতরাং পুরো নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার আগেই শিরোনামে "অবশেষে জিতলেন ট্রাম্প" ব্যবহার করে খবর পরিবেশন বিভ্রান্তিকর।