ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে নিজেকে স্বপন আহমেদ বলে দাবী করা এক ব্যাক্তি একই নামের পেজ থেকে সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের একটি রিসোর্টে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ও তার দাবিকৃত স্ত্রীকে নিয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে একটি ভিডিও বানিয়েছেন। দেখুন এখানে।
পোস্ট করা ভিডিও ক্লিপটিতে মূলত দুটি দাবি করা হয়েছে।
প্রথমত: ভিডিওর বক্তা দেখানোর চেষ্টা করেছেন যে মামুনুল হকের সাথে সেদিন রিসোর্টে তোলা নারীর ছবি এবং সেদিনই সামাজিক মাধ্যমে আসা একই নারীর একটি ভিডিওতে দৃশ্যমান নারীর বোরকার রং এক নয়। এর মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে, ভিডিওতে বক্তব্য দেয়া নারী মামুনুল হকের সেই স্ত্রী নন যাকে নিয়ে তিনি রিসোর্টে উঠেছিলেন। বরং 'চক্রান্ত করে' মামুনুল হককে ফাঁসানোর জন্য অন্য নারীর কথা ভিডিও রেকর্ড করে ছড়ানো হয়েছে। এর সাথে যুক্তি হিসেবে তিনি এই নারীর হাতের নখের সাইজ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
দ্বিতীয়ত: ভিডিওতে স্বপন আহমেদ দাবি করেছেন যে, যেহেতু যে কারো অডিও নকল করে ভুয়া কল রেকর্ড বানানো যায় সুতরাং সংবাদমাধ্যমে আসা কল রেকর্ডও মামুনুলের নয়।
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে যে, স্বপন আহমদের দ্বিতীয় দাবিটি ভুয়া। এবং প্রথম দাবিটিও তিনি প্রামাণ্যভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন নি।
প্রথমত: বোরকার রং এবং হাতের নখ লম্বা- এই যুক্তি দিয়ে যেভাবে ভিডিওটিতে স্বপন আহমেদ দেখানোর চেষ্টা করেছেন যে, ঘটনার দিন মামুনুল হকের সাথে থাকা নারী আর সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাওয়া নারী এক নয় তা কোনো অকাট্য প্রমাণ নয়। গাঢ় নীল রং অপেক্ষাকৃত কম আলোতে কালো দেখায়। আর মামুনুলের স্ত্রীর হাতের নখ লম্বা হতে পারে না- এমন অনুমানের ওপর ভিত্তি করে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যা কোনো প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে না।
তাছাড়া মামুনুল হক নিজে কখনো অস্বীকার করেন নি যে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাওয়া নারী দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে তার সাথে থাকা সেই নারী নন।