HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফেক নিউজNo Image is Available
ফ্যাক্ট ফাইলNo Image is Available
শরীর স্বাস্থ্যNo Image is Available
HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফেক নিউজNo Image is Available
ফ্যাক্ট ফাইলNo Image is Available
শরীর স্বাস্থ্যNo Image is Available
ফেক নিউজ

ইসরায়েলে তুরস্কের সেনা প্রেরণ বলে প্রচারিত ভিডিওটি সিরিয়া যুদ্ধের

সিরিয়ায় তুরস্কের সামরিক অভিযানের ভিডিওকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তুরস্কের সেনা প্রেরণ বলে প্রচার করা হচ্ছে; যা ভিত্তিহীন।

By - Md Abdullah Khan | 3 Jun 2021 3:25 PM IST

সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি সামরিক অভিযানের ভিডিও পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান আল-আকসা মসজিদ রক্ষায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী প্রেরণ করেছেন এবং এরই মধ্যে ভিডিওতে দৃশ্যমান সেই সেনাবাহিনী পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে পৌঁছেছে। একটি দৃশ্যে তুরস্কের পতাকা হাতে লোকজনকে সেসব সামরিকযানকে অভিবাদন জানাতেও দেখা যায়। পোস্টগুলো দেখুন এখানে, এখানে ও এখানে। 

'পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলাম'  নামের একটি ফেসবুক পেজে গত ১৫ মে ভিডিওটি পোস্ট করে 
এর বর্ণনায় লেখা হয়- "ইসরাইল কে ধ্বংস করতে এরদোগান সেনাবাহিনী পাঠালো আল আকসা মসজিদে এই মাএ তুরস্কের সেনাবাহিনী এসে পৌঁছেছে।" অর্থাৎ দাবি করা হচ্ছে এটি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে তুরস্কের সেনাবাহিনী প্রেরণের দৃশ্য।
পোস্টটির আর্কাইভ লিংক দেখুন এখানে 

এছাড়া, অনেক পেজ ও আইডি থেকে একই দাবিতে ভিডিওটি পোস্ট করতে দেখা গেছে। যাদের প্রত্যেকের বর্ণনা কাছাকাছি রকমের।



 ফ্যাক্ট চেক

বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, এটি সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী কুর্দি অধ্যুষিত একটি এলাকায় তুরস্কের সামরিক অভিযানের ভিডিও। যা ইসরায়েল ও জেরুজালেমের বলে ভুলভাবে প্রচার করা হচ্ছে।

ভাইরাল ভিডিওটিতে শুরু থেকে ১২ সেকেন্ড পর্যন্ত এবং ৩৪ সেকেন্ড থেকে ১ মিনিট ৪১ সেকেন্ড পর্যন্ত অন্তত দুইটি আলাদা ক্লিপ যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো ইসরায়েল কিংবা জেরুজালেম সম্পৃক্ত নয় বরং সিরিয়ায় তুরস্কের সামরিক অভিযানের।

ইনভিড টুলের সাহায্যে ভিডিওটির বিভিন্ন কি-ফ্রেম নিয়ে সার্চ করে, ২০১৮ সালের ২১ জানুয়ারি প্রকাশিত তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ইয়েনিশাফাক (Yenisafak)-এর একটি ভিডিও প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া গেছে । প্রতিবেদনে যুক্ত করা ফুটেজের সাথে ভাইরাল ভিডিওটির শুরু থেকে ১২ সেকেন্ড পর্যন্ত দেখতে পাওয়া ফুটেজের হুবহু মিল পাওয়া যায়। প্রতিবেদন অনুসারে এটি 'অপারেশন অলিভ ব্রাঞ্চ' নামে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় আফরিন এলাকায় পরিচালিত তুরস্কের সামরিক অভিযানের প্রস্তুতির দৃশ্য। প্রতিবেদনের লিংক দেখুন এখানে। 


ভাইরাল পোস্ট ( বামে) এবং ইয়েনিশাফাক-এর প্রতিবেদনের (ডানে) স্ক্রিনশট 

এছাড়া, টুইটারেও ভিডিওটির একটি পুরানো ভার্সন খুঁজে পাওয়া যায়, যা 24 TV নামে তুরস্কের একটি টেলিভিশন চ্যানেলের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে ২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারি পোস্ট করা হয়েছে।



একই পদ্ধতিতে আরও কি-ফ্রেম নিয়ে সার্চ করার পর ভাইরাল ভিডিওর ১ মিনিট ৪১ সেকেন্ড পর্যন্ত অংশটির একটি পুরানো ভার্সন ইউটিউবে খুঁজে পাওয়া গেছে। যা Aksu TV Haber নামের তুরস্কের আরেকটি সংবাদমাধ্যমের ইউটিউব চ্যানেলে ২০১৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি "Kahramanmaraş'ta Mehmetçiğe sevgi seli" শিরোনামে ভিডিওটি আপলোড করা হয়। তুর্কি ভাষায় লিখা ভিডিওটির বর্ণনার স্বয়ংক্রিয় অনুবাদে জানা যায়, সিরিয়ায় তুর্কি সেনাবাহিনীর 'অপারেশন অলিভ ব্রাঞ্চ' নামের সামরিক অভিযান শেষে ফেরার পথে তুরস্কের পাযারজিক জেলায় (Pazarcık district) ভিডিওটি ধারন করা হয়েছে।

অপারেশন অলিভ ব্রাঞ্চের ( বামে) এবং ভাইরালের ভিডিওর( ডানে) স্ক্রিনশট 

ইউটিউব ভিডিওটি দেখুন নিচে-  

 

Full View


সংবাদমাধ্যম সিএনএন তুরস্কের এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন দেখুন এখানে




অর্থাৎ ফুটেজ দুটি সিরিয়ায় তুরস্কের সেনাবাহিনীর সামরিক অভিযান সম্পর্কিত। সম্পূর্ন ভিন্ন ঘটনার এসব দৃশ্যকে যুক্ত করে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তুরস্কের সেনা প্রেরণ বলে প্রচার করা হচ্ছে; যা সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ এর জানুয়ারিতে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় কুর্দি অধ্যুষিত আফরিনে সামরিক অভিযান চালায় তুরস্ক, যার নামকরণ করা হয় 'অপারেশন অলিভ ব্রাঞ্চ' (Operation Olive Branch)। সেই অভিযান সম্পর্কিত খবর দেখুন এখানে ও এখানে

সুতরাং, সিরিয়ায় তুরস্কের সামরিক অভিযানের ভিডিওকে বিভ্রান্তিকরভাবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তুরস্কের সেনা প্রেরণ বলে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে

Tags:

Related Stories