একাধিক ফেসবুক গ্রুপ এবং ব্যক্তিগত প্রোফাইল থেকে একটি লাশের ছবি দিয়ে দাবি করা হচ্ছে, করোনা পজিটিভ হওয়ায় ওই মৃত ব্যক্তিটির পাশে দাঁড়ায়নি তার আপনজন। দেখুন এমন কিছু পোস্টের লিংক এখানে, এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ৩ মে নব্বই দশক [Official] নামক ফেসবুক গ্রুপে একটি পোস্ট করা হয় যেখানে দাবি করা হয়, কুমিল্লায় একজন করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর পাশে দাঁড়ায়নি তার পরিবার। এছাড়া করোনা আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে মৃত্যুর পর লাশও সোজা করে রাখা হয়নি। উক্ত পোস্টটির সাথে একটি ছবি যুক্ত করা হয়েছে, যেখানে একটি লাশের জানাজা পড়তে দেখা যাচ্ছে। দেখুন স্ক্রিনশট--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ভাইরাল হওয়া ছবিটির বর্ণনাটি সত্য নয়।
প্রথমত, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর মৃতের পাশে তার পরিবার দাঁড়ায়নি, এমন দাবি পোস্টে করা হলেও এই তথ্যটি পোস্টদাতা কোথায় পেয়েছেন তার কোনো উল্লেখ সেখানে নেই।
এদিকে সামাজিক মাধ্যমে ছবি ছড়ানোর পর মৃত ব্যক্তিটি ছেলে মাহমুদুল হাসান ঢাকা পোস্ট-কে জানান, তার পিতার মৃত্যুর সময়ে তিনি ছাড়াও পরিবারের আরো দুজন তার পাশে ছিলেন। দেখুন ৩ মে প্রকাশিত সেই খবরটির স্ক্রিনশট--
এছাড়া লাশ সোজা করার জন্যে কাউকে পাওয়া যায়নি, পোস্টে করা এই দাবিটিও সত্য নয়। মূলত মৃত ব্যক্তিটি আগে থেকেই প্যারালাইজড ছিলেন। ঢাকা পোস্টের একই প্রতিবেদনে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সাজেদা খাতুনের বরাতে জানা যায়, একাধিক স্ট্রোকের কারণে মৃত ব্যক্তিটি আগে থেকেই প্যারালাইজড ছিলেন এবং এতে তার কোমর আগে থেকেই বাঁকা হয়েছিলো। রোগীর ডান হাত এবং পা প্যারালাইসিসের কারণে অবশ এবং বাঁকা হয়ে থাকায় এগুলোও নতুন করে সোজা করার সুযোগ ছিলো না।
চিকিৎসকের বক্তব্য থেকে জানা যাচ্ছে, করোনা আক্রান্ত হওয়ায় কেউ লাশ সোজা করতে এগিয়ে আসেনি এমন দাবি ভিত্তিহীন।