বাংলাদেশে 'শিশুবক্তা' হিসেবে পরিচিত আলোচিত ধর্মীয় বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানী কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বলে সম্প্রতি একটি খবর সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়েছে। দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ২৩ জুন, 'এসো ইসলামের পথে' নামের ফেসবুক গ্রুপে 'Mohammad Mizan' নামের আইডি থেকে রফিকুলের একটি ছবি শেয়ার করে লেখা হয়েছে, "এইমাত্র মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী মুক্তি পেয়েছেন।"। দেখুন--
ফ্যাক্টচেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দাবিটির কোন সত্যতা পায়নি। দেশের মূলধারার সংবাদমাধ্যমে রফিকুল ইসলাম মাদানীর জামিন বা মুক্তি সংক্রান্ত কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এছাড়া বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে গুগলে সার্চ করে দেখা গেছে, সর্বশেষ গত মাসের ২৮ মে মূলধারার একাধিক সংবাদমাধ্যমে তাকে নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়। তন্মধ্যে "স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন রফিকুল ইসলাম মাদানী" শিরোনামে এনটিভি'র অনলাইন ভার্সনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়--
"আলোচিত ইসলামি বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গাজীপুর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ শুক্রবার গাজীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ নাজমুন নাহারের আদালতে তিনি জবানবন্দি দেন।" খবরের স্ক্রিনশট দেখুন
এ সংক্রান্ত আরও কিছু প্রতিবেদন দেখুন এখানে ও এখানে।
আলোচিত এই ধর্মীয় বক্তার গ্রেফতার ও পরে তাঁর আদালতে দেয়া জবানবন্দীর খবর গুরুত্বের সাথে মূলধারার গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, ফলে তিনি মুক্তি পেলে স্বাভাবিকভাবে সেটিও প্রকাশ করার কথা। কিন্তু মূলধারার গণমাধ্যমে তাঁর মুক্তির কোন খবর পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে রফিকুল ইসলামকে তাঁর গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার লেটিরকান্দা থেকে গ্রেফতার করে, র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক আ. ন. ম. ইমরান খানের বরাত দিয়ে দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইন ভার্সনে বলা হয়, "রাষ্ট্রবিরোধী উসকানিমূলক ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য প্রদান এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির" অভিযোগে রফিকুলকে আটক করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি দেখুন এখানে।
সুতরাং, কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়া 'শিশুবক্তা' হিসেবে আলোচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীর কারামুক্তির খবর প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে; যা বিভ্রান্তিকর।