সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক পেজ ও আইডি থেকে গত ২৬ মার্চ দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনকে ঘিরে পত্রিকাটির সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে তুলে নেয়া ও পরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় একটি গ্রাফিক কার্ড শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, দৈনিক প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ বলেছেন ওই প্রতিবেদনের দায় প্রথম আলোর নয় বরং প্রতিবেদক শামসুজ্জামানের। এরকম কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
গত ৩০ মার্চ "Rohid Shil" নামের একটি ফেসবুক একাউন্ট থেকে গ্রাফিক কার্ডটি পোস্ট করা হয়েছে যাতে দৈনিক প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফের বরাতে লেখা রয়েছে, "এই দায় প্রথম আলোর নয় এই দায় শামসুজ্জামানের"। স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, দৈনিক প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ নামে ভুয়া মন্তব্য প্রচার করা হচ্ছে।
কি-ওয়ার্ড সার্চ করার পর, দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে "প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার" একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে দেখা যায়। প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংবাদমাধ্যমটির নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফের একটি বক্তব্য উদ্ধৃত করা হয়েছে। পরে সাজ্জাদ শরিফ নিজেই, শামসুজ্জামানকে নিয়ে এমন কোনো বক্তব্য তিনি কোথাও দেননি বলে নিশ্চিত করেন।
বুম বাংলাদেশ প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, "গতকাল আমি প্রথম আলোর পক্ষ থেকে একাধিক সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছি। কিন্তু কোথাও এ ধরণের কোনো মন্তব্য করিনি। এটি বানোয়াট উক্তি। সাংবাদিক শামসুজ্জামান তার প্রতিবেদনে কোনো ত্রুটি করেননি, ফলে দায়ের প্রশ্নটিই আসছে না। আমরা শামসুজ্জামানের পক্ষে আছি। আমরা সকল আইনি লড়াই চালিয়ে যাবো। প্রথম আলোর কিংবা আমার বরাতে এ ধরণের অপপ্রচার সম্পর্কে নাগরিকদের সচেতন থাকার অনুরোধ করছি।"
অর্থাৎ ফেসবুকে ছড়িয়ে পরা উক্তিটি বানোয়াট। এ ধরণের কোনো মন্তব্য প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক করেননি।
সুতরাং প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফের বরাতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারিত উক্তিটি বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।