(নোট: বুধবার বুম বাংলাদেশ-এর এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেইজ থেকে ভুলভাবে উপস্থাপিত ছবি দুটি সরিয়ে দেয়া হয়েছে।)
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে বুধবার দুপুরে ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়কে নিয়ে একটি পোস্ট করা হয়।
পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
নিচের স্ক্রিনশটে দেখুন পোস্টটি-
এখানে 'মহাস্থানগড়ের ছবি' হিসেবে ৫টি ছবি আপলোড করা হয়েছে, যার মধ্যে দুটি ছবি প্রকৃতপক্ষে মহাস্থানগড়ের নয়। পোস্টের দ্বিতীয় ও পঞ্চম ছবি দুটি নওগাঁ জেলার পাহাড়ারপুর বৌদ্ধ বিহারের।
বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়নের নওগাঁ জেলার ওয়েবসাইটে পাহাড়ারপুর বৌদ্ধ বিহারের যেসব ছবি রয়েছে তার সাথে দ্বিতীয় ও পঞ্চম ছবি দুটি মিলে যায়।
এছাড়া মহাস্থানগড়ের বর্তমান আকৃতির সাথে এই দুটি ছবির কোনো মিল নেই। বিভিন্ন সময়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতেও দেখা যাচ্ছে এই দুটি ছবি পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের।
মহাস্থানগড় এবং পাহাড়পুরে মূল বিহার দুটির তুলনামূলক ছবি নিচে দেয়া হল। ছবি দুটির প্রথমটি জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে'র বাংলা ভার্সন থেকে নেয়া। ছবিটি ডয়চে ভেলে'র ফটোগ্রাফার তুলেছেন। দ্বিতীয় ছবিটি তাদের প্রকাশিত একটি ভিডিওর স্ক্রিনশট। ডয়চে ভেলে'র প্রতিবেদন দুটি পড়তে ক্লিক করুন এখানে ও এখানে।
দুটি ঐতিহাসিক স্থানের ছবি ও ভিডিও সম্বলিত আরও কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন নিচে যুক্ত করা হলো।
মহাস্থানগড় সংক্রান্ত ছবি ও ভিডিওর লিংক:
বাংলানিউজ: ঘুরে আসুন সভ্যতার নিদর্শন মহাস্থানগড়ে
তথ্য বাতায়ন: বগুড়া জেলা
এনটিভি অনলাইন: পুরাকীর্তির সন্ধানে মহাস্থানগড়ে
বাংলাদেশ প্রতিদিন: পুণ্ড্রনগরই এখন বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়
পাহাড়পুরের ছবি ও ভিডিওর লিংক:
সময় টিভি: পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারে দিন দিন বাড়ছে দর্শনার্থী
বাংলাট্রিবিউন: বাংলাদেশের গর্ব পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার (ভিডিও)
এনটিভি অনলাইন: পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহারে একদিন
সমকাল: পাহাড়পুরে হারিয়ে যাচ্ছে সোমপুর মহাবিহার
প্রসঙ্গত, একটি স্থানের বদলে অন্য স্থানের ছবি প্রচার করা হলেও পোস্টটিতে 'ফটোক্রেডিট' হিসেবে একজন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করা হয়েছে।