''নভেম্বরে খুলছে স্কুল, হবে বার্ষিক পরীক্ষাও'' এরকম শিরোনামে একটি খবর বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে ও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়েছে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ থেকে তা বিভিন্ন পোর্টালে দেখা যাচ্ছে। সবগুলো পোর্টালেই মূল খবর হুবহু একই যা দেখলে বোঝা যায় অন্য কোন সংবাদ মাধ্যমের খবরকে কপি করে পোর্টালগুলোতে প্রকাশ করা হয়েছে। দেখুন এখানে ও এখানে।
''করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ৮ দফা ছুটি পর চলতি বছর স্কুল-কলেজ আদৌ খোলা হবে কি না এমন সংশয়ের মধ্যে শীত নাড়া দিচ্ছে। নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ শীতে করোনার সংক্রমন বেড়ে যেতে পারে এমন শষ্কাও রয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেও সংক্রমন বাড়ায় ফের বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে সরকারকে সাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। যার বেশিরভাগই সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই। আর যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নভেম্বরে খোলা হয় সেক্ষেত্রে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হবে ১৫% সিলেবাসের ওপর ভিত্তি করে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো পরিস্থিতি এখনো হয়নি। নভেম্বর মাসে স্কুল খুললে মাত্র ৩০ দিন সময় পাবে শিক্ষার্থীরা। এতে সিলেবাসের ১৫% পড়ানো সম্ভব হবে।
এদিকে ক্ষতি পোষাতে বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে এপ্রিল মাস থেকে চলে আসা টেলিভিশন, রেডিও, অনলাইন ও মোবাইলে পাঠদান চালু থাকলেও খুব বেশি কার্যকর হয়নি। শিক্ষার্থীদের অর্ধেকই ছিল এ পাঠদানের বাইরে। এতে চলতি বছর শিক্ষার যে ক্ষতি হওয়া তা হয়ে গেছে। তাই এ মুর্হুতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে রাজি নয় সরকার।'' কিন্তু অন্যান্য অনলাইন পোর্টালগুলো যায়যায়দিনের মূল খবর একই রেখে শুধু শিরোনাম পরিবর্তন করে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে। মূল খবরে নভেম্বরে স্কুল খোলার ব্যাপারে কোন কিছু বলা হয়নি। এতে করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা শিরোনাটি সত্য মনে করে বিভ্রান্ত হচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে যায়যায়দিনের প্রতিবেদনটিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে সরকারের প্রতিবন্ধকতা ও চ্যালেঞ্জ এর উপর আলোকপাত করা হয়েছে।
এছাড়া নভেম্বর থেকে দেশের স্কুলগুলো খোলে দেয়া হবে এমন কোনো ঘোষণাও দেয়া হয়নি সরকারের পক্ষ থেকে।