সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ইউক্রেন সংক্রান্ত একটি দাবি একাধিক পেজ থেকে পোস্ট করা হচ্ছে। সেখানে বলা হচ্ছে, ইউক্রেনের জেমিনি দ্বীপ রক্ষা করতে গিয়ে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে ১৩ জন ইউক্রেন সেনা নিহত হয়েছে। দেখুন এমন দুটি পোস্ট এখানে এবং এখানে।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি 'MD Arifujjaman Uzzwal' নামের ফেসবুক আইডি থেকে ছবিসহ একটি পোস্ট করা হয়। সেখানে বলা হয়, সাম্প্রতিক রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউক্রেনের জেমিনি দ্বীপ রক্ষায় জীবন দিয়েছে ইউক্রেনের ১৩ সেনা সদস্য। দেখুন সেই পোস্টের স্ক্রিনশট--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, খবরটি বিভ্রান্তিকর। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জেমিনি দ্বীপে ইউক্রেনীয় সৈন্যের নিহত হওয়ার খবরটি ভিত্তিহীন। মূলত ইউক্রেনের নৌবাহিনীর এক ফেসবুক পোস্টে এই খবরটি নিশ্চিত করা হয়। সেখানে বলা হয়, 'আমাদের সহযোদ্ধারা জীবিত আছে, ভাল আছে'। দেখুন--
বিবিসির খবরটির লিংক এখানে।
এছাড়া রাশিয়ার বার্তা সংস্থা 'তাস' এর খবরে বলা হচ্ছে, জেমিনি দ্বীপে অন্তত ৮২ জন ইউক্রেনীয় সেনা সদস্য আত্মসমর্পণ করেছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল ইগোর কোনাশেনকভের বরাতে এই খবরটি দেয়া হয়। সেখানে কোনো সেনার নিহতের খবর পাওয়া যায়নি। দেখুন--
খবরটি দেখুন এখানে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের কোস্ট গার্ড জানায় যে কৃষ্ণ সাগরে অবস্থিত জেমিনি (স্নেইক) দ্বীপ রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজের হামলার শিকার হয়েছে। পরবর্তীতে অপর বিবৃতিতে জানানো হয় যে, দ্বীপটি রুশ বাহিনী দখল করেছে এবং দ্বীপটি রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। মনে করা হয়, সেসব সেনারা নিহত হয়েছে। দেখুন এখানে। পরবর্তীতে জানা যায়, সেই দ্বীপে রুশ বাহিনীর কাছে আটক ইউক্রেনীয় সেনারা অক্ষত আছে।
এ সংক্রান্ত এএফপি বাংলার একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন দেখুন এখানে।
সুতরাং জেমিনি দ্বীপ রক্ষায় রুশ বাহিনীর হাতে ১৩ ইউক্রেনীয় সেনার নিহতের খবরটি ভুয়া।