এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করা হয়েছে মর্মে একটি খবর কিছু অনলাইন পোর্টালে ও সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে।
দেখুন এখানে ও এখানে। আর্কাইভ করা আছে এখানে।
অনলাইনসিটিনিউজ ডটকম নামক পোর্টালের খবরের শিরোনাম ''নভেম্বর এর ১তারিখের উপর ভিত্তি করে এইচ এস সি পরীক্ষার রুটিন ঘোষনা করা হল'' দেয়া হলেও মূল খবরে বলা হয়েছে, ''শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ও এইচএসসি-সমমান পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হবে। এ বিষয়ে আগামীকাল বুধবার শিক্ষাবিষয়ক সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিয়ম সভা করে এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। মঙ্গলবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এমন কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাংস্কৃতিক সচিব আজিজুর রহমান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কবে খোলা হবে সে বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের টেকনিক্যাল কমিটি কাজ করছে। তাদের প্রস্তাবের ভিত্তিতে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তিনি বলেন, পরীক্ষা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে আগামীকাল শিক্ষাবিষয়ক সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা রয়েছে, সেখানে এসব বিষয়ে নিয়ে আলোচনা করা হবে।''
ফ্যাক্ট চেক:
অনুসন্ধানে দেখা যায়, সরকারের পক্ষ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা কোনো রুটিন এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে এই সপ্তাহেই চূড়ান্ত একটি সিদ্ধান্ত আসার কথা জানানো হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়য়ের পক্ষ থেকে। মূলধারার সংবাদ মাধ্যমে এইচএসসি পরীক্ষা সংক্রান্ত সর্বশেষ খবর দেখুন এখানে ও এখানে। `
প্রকৃতপক্ষে ফেসবুকে ছড়ানো খবরটি গত ২৯ সেপ্টেম্বর দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত হয়। ''এইচএসসি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত শিগগিরই: শিক্ষামন্ত্রী'' শিরোনামের যুগান্তরের খবরটির মূল অংশের সাথে ফেসবুকে ছড়ানো খবরের হুবহু মিল পাওয়া যায়।
অর্থাৎ উল্লেখিত পোর্টালগুলো দৈনিক যুগান্তরের খবরকে শুধু শিরোনাম বদলে বাকী খবর একইরকম রেখে প্রকাশ করেছে। এইচএসসি পরীক্ষার মত একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষার রুটিন নিয়ে এমন আকর্ষণীয় শিরোনাম করার কারণে অনেকেই বিভ্রান্ত হচ্ছেন।
উল্লেখ্য, এবছর এইচএসসি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল এপ্রিলের শুরুতে। কিন্তু করোনাভাইরাস এর প্রাদুর্ভাবের কারণে পরীক্ষাটি স্থগিত করা হয়। এবারের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩ লাখেরও বেশি।
পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় পরীক্ষাটি কীভাবে হবে তা নিয়েও নানা আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছিলেন দ্রুত সময়ে ন্যূনতম বিষয় ও ন্যূনতম নম্বরের ভিত্তিতে পরীক্ষা নেওয়াসহ অনেকগুলো বিকল্প প্রস্তাব সামনে রেখে চিন্তা করা হচ্ছে।