সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে জাতীয় পার্টির নেত্রী ও সংসদ সদস্য রওশন এরশাদের মৃত্যুর খবর প্রচার করা হচ্ছে। দেখুন এমন দুটি পোস্ট এখানে এবং এখানে।
গত ৫ নভেম্বর 'Saima Wazed' নামের ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট করে বলা হয়, মাননীয় বিরোধী দলের নেত্রী ময়মনসিংহ সদর আসনের এমপি এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত এইচ এম এরশাদের সহধর্মিনী বেগম রওশন এরশাদ চলে গেলেন। দেখুন সেই পোস্টের স্ক্রিনশট--
একইরকম আরেকটি পোস্ট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা ও ময়মনসিংহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য রওশন এরশাদের মৃত্যুর খবরটি ভিত্তিহীন। একাধিক মূলধারার সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এটিকে 'গুজব' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। একইদিনে অর্থাৎ গত ৫ নভেম্বর দৈনিক দেশ রুপান্তরের এক সংবাদে রওশন এরশাদের মৃত্যুর খবরটিকে গুজব হিসেবে প্রকাশ করে। দেখুন--
দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু শুক্রবার গত রাত ১০টার দিকে দেশ রূপান্তরকে এ তথ্য জানান। প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে।
এছাড়া, রওশন এরশাদের মৃত্যুর বিষয়টি গুজব বলে নিশ্চিত করেছেন জাপা চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী। তিনি জাগোনিউজ২৪ কে জানান, রওশন এরশাদের অবস্থা অপরিবর্তিত আছে। রাত সাড়ে ৯টায় তাকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স থাইল্যান্ড পৌঁছেছে। ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে আছেন। এখন সেখানে তার চিকিৎসা শুরু হবে। দেখুন--
জাগোনিউজ২৪ এর খবরটি পড়ুন এখানে।
একইভাবে সর্বশেষ রওশন এরশাদের পুত্র এবং জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ তাঁর ফেসবুক পেজে জানান, তিনি তার মা'কে নিয়ে নিরাপদে থাইল্যান্ডে পৌঁছেছেন। ৫ নভেম্বর রোজ শুক্রবার রাত প্রায় ১২টায় এই পোস্ট দেন সাদ এরশাদ। দেখুন তার পোস্ট এখানে--
সাদ এরশাদের ফেসবুক প্রোফাইল এবং পেজে করা ছবিসহ পোস্টটি দেখুন এখানে এবং এখানে।
অর্থাৎ এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রাপ্ত সংবাদ ও তথ্যমতে সাংসদ রওশন এরশাদ জীবিত আছেন। সুতরাং তার মৃত্যু সংক্রান্ত খবরগুলো ভিত্তিহীন।