সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক পেজে একটি ভিডিও পোস্ট করে বলা হচ্ছে, হিরো আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
১৮ ঘন্টা আগে 'Namina' নামে একটি ফেসবুক পেজ থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করে লেখা হয়, "হিরো আলম এইমাত্র র্যাবের হাতে গ্রেফতার।কেন ওবায়দুল কাদেরকে ওপেন চ্যালেঞ্জ দিল তিনি"। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, পোস্টের দাবিটি মিথ্যা। বুম বাংলাদেশকে হিরো আলম নিজেই নিশ্চিত করেছেন তিনি গ্রেফতার হননি।
কি-ওয়ার্ড সার্চ করে দৈনিক প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে গত ৫ ফেব্রুয়ারি 'আপনি দল থেকে দাঁড়াবেন, আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হব—দেখি, খেলা হয় কি না: ওবায়দুল কাদেরকে হিরো আলম' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে গণমাধ্যমে পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের জেরে হিরো আলম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হওয়ার জন্য চ্যালেঞ্জ করেছেন মো. আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। তবে, এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতারের মত কোনো ঘটনা ঘটেনি। স্ক্রিনশট দেখুন--
আরো সার্চ করে দৈনিক যুগান্তরের ওয়েবসাইটে ২০১৯ সালের ৬ মার্চ 'হিরো আলম গ্রেফতার' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালে স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগে হিরো আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। স্ক্রিনশট দেখুন--
স্ত্রীর করা মামলায় গ্রেফতার হওয়ার কিছুদিন পর হিরো আলম জামিনে মুক্তি পাওয়ার খবরও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ঐ বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল "স্ত্রীকে মারধরের মামলায় জামিনে মুক্তি পেলেন হিরো আলম" শিরোনামে প্রথম আলো এবং "জামিনে মুক্ত হিরো আলম" শিরোনামে বাংলা ট্রিবিউন সহ মূলধারার অধিকাংশ গণমাধ্যমে খবরটি প্রকাশিত হয়।
তবে, সম্প্রতি হিরো আলম ওরফে আশরাফুল আলমকে গ্রেফতারের কোনো সংবাদ গণমাধ্যমে নানাভাবে সার্চ করেও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এদিকে এ বিষয়ে আরো নিশ্চিত হতে হিরো আলমের সাথে যোগাযোগ করে বুম বাংলাদেশ। হিরো আলম নিজেই বুম বাংলাদেশকে জানান, তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। তাঁর নামে ভুয়া সংবাদ ছড়ানো হচ্ছে।
সুতরাং বগুড়ায় উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী পুনরায় আলোচনায় আসা হিরো আলমকে গ্রেফতারের ভিত্তিহীন সংবাদ ছড়ানো হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।