সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি, পেজ ও গ্রুপ থেকে পোস্ট করে বলা হচ্ছে, শান্তিতে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ডক্টর মুহম্মদ ইউনুসকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে, এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ১২ মে 'Rn Romjan Miya' নামে একটি ফেসবুক পেজ থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করে বলা হয়, "তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব পেলো ড.ইউনূস || ফেঁসে গেলো আওমীলীগ প্রধানমন্ত্রী | BNP || City Election"। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আলোচ্য পোস্টের দাবিটি সঠিক নয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন বা ডক্টর ইউনুসকে দায়িত্ব প্রদানের কোনো সংবাদ গণমাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায়নি বরং নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কি-ওয়ার্ড সার্চ করে অনলাইন পোর্টাল বাংলা নিউজের ওয়েবসাইটে আজ (১৫ মে) 'শুধু সংসদীয় দল নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকারে রাজি শেখ হাসিনা' শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শুধু সংসদীয় দলগুলো নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনে রাজি থাকার কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি সেই সংবাদে। স্ক্রিনশট দেখুন--
আরো সার্চ করে দৈনিক পত্রিকা প্রথম আলোর অনলাইন ভার্সনে 'বিএনপি সংসদে নেই, নির্বাচনকালীন সরকারের চিন্তায়ও নেই: প্রধানমন্ত্রী' শিরোনামে আরেকটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। এছাড়াও, দৈনিক পত্রিকা ডেইলি স্টারের অনলাইন বাংলা ভার্সনে '‘কোনো সংসদ সদস্য ইচ্ছা প্রকাশ করলে নির্বাচনকালীন সরকারে আসতে পারে’' শিরোনামেও আরেকটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। উভয় প্রতিবেদন থেকেই নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের ব্যাপারে জানা গেলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি।
এদিকে, বিভিন্ন কি-ওয়ার্ড ধরে বহুবার সার্চ করেও ডক্টর মুহম্মদ ইউনুসের বাংলাদেশে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের ব্যাপারে কোনো সংবাদ স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এছাড়া, এ বিষয়ে জানতে ইউনুস সেন্টারের সাথে যোগাযোগ করে বুম বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ডক্টর ইউনুসের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের খবরটি সম্পূর্ণ ভুয়া ও ভিত্তিহীন।
সুতরাং ডক্টর মুহম্মদ ইউনুসের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের ভিত্তিহীন দাবি প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।