ফেসবুকে একটি পোস্টে দাবি করা হচ্ছে, সম্প্রতি লালমনিরহাটে কুরআন অবমাননার অভিযোগে পুড়িয়ে ফেলা ব্যক্তিটি একজন হিন্দু। দেখুন পোস্টটি এখানে। এছাড়া আর্কাইভ লিংক এখানে।
Md Shamim Hossain নামের একটি ফেসবুক প্রোফাইল থেকে 'সময় 24 ডট কম' নামক একটি গ্রুপে ৩টি ছবিসহ একটি পোস্টে দাবি করা হয়--
"লালমনিরহাট পাটগ্রাম বুড়িমারী স্থল বন্দর এক হিন্দু লোক মসজিদে প্রবেশ করে কোরআন শরীফের উপর লাফালাফি করার কারণে মুসল্লিরা তাকে মেরে গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়"।
গত ২৯ অক্টোবর উক্ত পোস্টটি ছবিসহ আপলোড করা হয়। দেখুন স্ক্রিনশট--
ফ্যাক্ট চেক:
গত ২৯ অক্টোবর বাংলাদেশের লালমনিরহাট পাটগ্রাম উপজেলার সীমান্তবর্তী বুড়িমারীতে একজনকে কুরআন অবমাননার অভিযোগে হত্যা করা হয়। তবে তিনি কোন হিন্দু ব্যক্তি ছিলেন না, ছিলেন একজন মুসলিম। বিবিসি বাংলার এক খবরমতে, উক্ত নিহত ব্যক্তির পুরো নাম আবু ইউনুস মোহাম্মদ শহীদুন নবী জুয়েল। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন চতুর্থ এবং তার বয়স পঞ্চাশের কিছু বেশি বলে জানা গেছে। এছাড়া তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্সে থেকে পাশ করে রংপুরের ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষকতা করেছেন।
সুতরাং, লালমনিরহাটে নিহত ব্যক্তিটিকে হিন্দু হিসেবে দাবি করা ভুয়া ও ভিত্তিহীন তথ্য।