সম্প্রতি ফেসবুকে তিন চোখওয়ালা অস্বাভাবিক এক বাচ্চার ভিডিও শেয়ার হচ্ছে। কেউ এটিকে আল্লাহর কুদরত হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছেন, আবার কেউ 'বাচ্চাটির জন্ম ইহুদী রাষ্ট্র ইসরায়েলে' বলে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করছেন।
ভিডিও দেখুন।
ফেসবুকে ২১ সেকেন্ড, ২২ সেকেন্ড এবং ৫১ সেকেন্ড এরকম বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের ভিডিও ক্লিপে দেখা যায় বয়স্ক একজন মানুষ বাচ্চাটির গালে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন।
গুগলের রিভার্স সার্চ থেকে চীনা ভাষায় একটি টুইটার হ্যান্ডেল থেকেও ভিডিওটি পাওয়া গেছে যেখানে টুইটটির বাংলা দাড়ায় এরকম, 'তিন চক্ষুবিশিষ্ট মানুষের আবির্ভাব'। আর্কাইভ দেখুন এখানে।
বুম এর অনুসন্ধানে দেখা যায় বাচ্চাটির কপালের চোখটি এডিট করে বসানো হয়েছে। মূলত বাচ্চাটির বাম চোখটিকে এডিট করে কপালে বসিয়ে তাকে একটি অস্বাভাবিক বাচ্চা হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে। ভিডিওটিকে ফ্রেম ধরে ধরে পর্যালোচনা করে দেখা যায় তার বাম চোখের সাথে কপালের কথিত অস্বাভাবিক চোখের আকৃতিগত মিল হুবহু একইরকম এবং এ দুটি চোখ একইভাবে নড়ছে।
ইউটিউবে একইভাবে সার্চ করে একটি ভিডিওর সন্ধান পাওয়া যায় যেখানে তিন চোখ থাকার একটি বিরল রোগের কথা বলা হয় যার নাম ক্র্যানিওফেশিয়াল ডুপ্লিকেশন। ভিডিওটি
দেখুন।
এরকম একটি রোগের খবর পাওয়া যায় ওয়েস্ট আফ্রিকান জার্নাল অফ রেডিওলজিতে ২০১৮ প্রকাশিত একটি কেস
রিপোর্টে এবং সেখান থেকেই উপরিউক্ত ভিডিওর বিবরণটি নেয়া। সেখানে নাইজেরিয়ার একটি বাচ্চার কথা বলা হয় যার জন্মকালে একটি বাড়তি চোখ দেখা যায় মাথার একেবারে বামপাশে এবং বাচ্চাটির মাথা ছিল অস্বাভাবিক মাপের। দেখুন। দেখা যাচ্ছে ভাইরাল হওয়া বাচ্চাটির চোখ ঠিক কপালে যার সাথে জার্নালে উল্লেখিত বাচ্চাটিরও কোন মিল নেই।
এছাড়া তিন-চোখের বাচ্চার এমন একটি অস্বাভাবিক ঘটনার খবর কোন জাতীয়-আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও পাওয়া যায়নি।