HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফেক নিউজNo Image is Available
ফ্যাক্ট ফাইলNo Image is Available
শরীর স্বাস্থ্যNo Image is Available
HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফেক নিউজNo Image is Available
ফ্যাক্ট ফাইলNo Image is Available
শরীর স্বাস্থ্যNo Image is Available
ফেক নিউজ

খালেদা জিয়ার ভাষণের ভিডিওকে বিকৃত করে প্রচার

বুম বাংলাদেশ দেখেছে, ২০১৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক জনসভায় জামায়াতকে নয় বরং আওয়ামী লীগকে বেঈমান বলেছিলেন খালেদা জিয়া।

By - Md Abdullah Khan | 17 Jun 2023 2:14 PM IST

সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক পেজ ও আইডি থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার একটি বক্তব্যের ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, তিনি জামায়াতে ইসলামিকে বেইমান ও মুনাফেক বলেছেন। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে

গত ১ মার্চ 'Md Sihab Uddin' নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিও ফুটেজটি শেয়ার করে লেখা হয়েছে, "জামায়েত ইসলাম এরা হইলো বেইমান, এরা হলো মুনাফেক,,,বললেন খালেদা জিয়া সত্য কখনো চাপা থাকে না সত্য সত্য রুপে প্রকাশ হয় ,তাই জামাতে ইসলামের আসল রূপ 24 বছর আগে খালেদা জিয়া বলেছেন"। স্ক্রিনশট দেখুন--

পোস্টটি দেখুন এখানে

ফ্যাক্ট চেক:

বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ভিডিওটি এডিট করে বিকৃত করা। প্রকৃত ভিডিওতে দেখা যায়, ২০১৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২০ দলীয় জোট আয়োজিত এক জনসভায় দেয়া বক্তব্যে জামায়াতকে নয় বরং আওয়ামী লীগকে বেঈমান ও মুনাফেক বলেছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।

প্রথমে ভিডিওটি মনোযোগ দিয়ে দেখলে দুটি বিষয় নজরে আসে। এক, ভিডিওটি বেসরকারি সম্প্রচার মাধ্যম এনটিভির ধারণকৃত। দুই, সমাবেশটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল।


এই দুটি সূত্র ধরে সার্চ করার পর, এনটিভির ইউটিউব চ্যানেলে মূল ভিডিওটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে 'Shahjalal Saju' নামের একটি ইউটিব চ্যানেলে মূল ভিডিওটির একটি সংস্করণ খুঁজে পাওয়া যায়, যা ২০২২ সালের ২৮ জুন পোস্ট করা হয়েছিল।

Full View

দুটি ভিডিও বিশ্লেষণ করে নিশ্চিত হওয়া যায়, মূলত আলোচ্য ফেসবুক পোস্টে প্রচারিত ফুটেজটি ২০১৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সমাবেশেরই। আলোচ্য ফেসবুক পোস্ট থেকে নেয়া স্ক্রিনশট (বামে) এবং ইউটিউব ভিডিও থেকে নেয়া স্ক্রিনশটের (ডানে) তুলনা দেখুন-- 


এই সূত্র ধরে সার্চ করার পর, অনলাইন ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম 'বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমে' "জেলে ভয় পাই না, তবে পরের বিষয়টি ভেবে দেখবেন" শিরোনামে এই সমাবেশ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনও খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদনে খালেদা জিয়াকে উদ্বৃত করে উল্লেখিত বক্তব্যের সাথে ইউটিউবে প্রাপ্ত ভিডিওতে দেয়া বক্তব্যের মিল রয়েছে। 


ইউটিউবে পাওয়া ভিডিওতে ৪ মিনিট ৫০ সেকেন্ড থেকে খালেদা জিয়াকে বলতে শোনা যায় ‘‘সময় আসবে তখন ভুলে যাবেন না। এদের হাতে আপনাদের রক্ত। শুধু আলেম বা মুসলমান না, কোনো মানুষই নিরাপদ না। আপনারা দেখেছেন না? পার্বত্য চট্টগ্রামে বৌদ্ধ মন্দিরগুলোতে কি অবস্থা করেছে!... ভেঙ্গে তছনছ করে দিয়েছে। সারা দেশে হিন্দুদের মন্দির গিয়ে মন্দির ভাঙ্গে, মুর্তি ভাঙ্গে তাদের অলঙ্কার চুরি করে। হিন্দু ধর্মের ভাইদের বাড়িঘর, জমি জায়গা তারা দখল করে নেয়। কারা দখল করে ? আওয়ামীলীগের লোজন দখল করে। এ হলো তাদের প্রকৃত চেহারা। কাজেই আওয়ামীলীগের ওপর কোনো কোনো ধর্মের মানুষেরই কোনো আস্থা বা বিশ্বাস নাই। এরা হলো বেঈমান, এরা হলো মুনাফেক। এদের কাছে দেশ বড় নয়, মানুষ বড় নয়, মানুষের জীবন বড় নয়। এদের কাছে টাকা আর ক্ষমতাই বড়।’

আবার, মূল বক্তব্যে বেগম খালেদা জিয়া একাধিকবার জামায়াত ইসলামী প্রসঙ্গে কথা বলেন। তন্মধ্যে ৮ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের পর থেকে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘[...] জামায়াতে ইসলাম বিএনপির সঙ্গে আছে, এখন তাই জামায়াতে ইসলামকে নানা অপবাদ দেওয়া হয়। [...] কিন্তু জামায়াতে ইসলাম যখন আওয়ামী লীগের সাথে ছিল তখন তারা ছিল আওয়ামী লীগের বন্ধু, স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি।’

প্রসঙ্গত, উক্ত সমাবেশে জামায়াতের তৎকালীন নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।

অর্থাৎ ২০১৪ সালে একটি সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দেয়া বক্তব্যের বিভিন্ন অংশ কাটছাঁট করে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে আলোচ্য ফেসবুক পোস্টগুলোতে। মূলত খালেদা জিয়া জামায়াতকে নয় বরং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বেঈমান ও মুনাফেক বলেছেন।

সুতরাং বেগম জিয়ার বক্তব্যের বিভিন্ন অংশ কেটে সম্পাদিত করে যুক্ত করে বিকৃতভাবে প্রচার করা হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে, যা বিভ্রান্তিকর।

Tags:

Related Stories