সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি থেকে ভারতীয় বাংলা পত্রিকা আনন্দবাজার পত্রিকার ই-পেপারের একাংশ পোস্ট করা হচ্ছে, যেখানে পত্রিকাটির লিড ছবিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দেখা যাচ্ছে। ছবিটির নিচের শিরোনামে লেখা থাকতে দেখা যায়, শেখ হাসিনা জোর করে জো বাইডেনের সঙ্গে ছবি তুলেছেন। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে এবং এখানে।
গতকাল ৯ সেপ্টেম্বর 'Mainur Rahman Milon' নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে এমন একটি পোস্ট করে ক্যাপশনে দাবি করা হয়, "আনন্দবাজার পত্রিকা হাটে হাঁড়ি ভেঙ্গে দিল। বাইডেনের সাথে জোর করে ছবি তুলেছেন শেখ হাসিনা।" নিচে পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, আনন্দবাজার পত্রিকার ই-পেপারের আলোচ্য চিত্রটি এডিটেড। মূলত পত্রিকাটিতে প্রকাশিত ভারত সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবিকে এডিট করে বাইডেনের সাথে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ছবিটি বসানো হয়েছে। এছাড়া ছবিটির নিচের শিরোনামও এডিট করে পাল্টে দেয়া হয়েছে।
সার্চ করে আনন্দবাজারের ওয়েবসাইট থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পত্রিকাটির ই-পেপার খুঁজে পাওয়া যায়। পত্রিকাটির প্রথম পাতায় প্রধান শিরোনামের পাশে লিড ছবিতে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একে অপরের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করছেন। এর নিচে একটি খবরের শিরোনাম হলো, "চিনের সম্পর্ক আর্থিক হলেও রক্তের বন্ধু ভারত, বার্তা হাসিনার"। আনন্দবাজার পত্রিকার ই-পেপারের প্রথম পৃষ্ঠার উপরিভাগের স্ক্রিনশট দেখুন--
পত্রিকাটির প্রথম পাতার বাম বাশের শিরোনাম "বিবৃতিতে বহুত্ববাদও" এবং ডান পাশে "ধুপগুড়িতে জয় ‘ইন্ডিয়া’র: মমতা" উল্লেখ রয়েছে, যা ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া পত্রিকার চিত্রের সাথে হুবহু মিল আছে। তবে পত্রিকার লিড ছবি ও এর নিচের শিরোনামের সাথে মিল নেই, যা এডিট করে পরিবর্তন করা হয়েছে। নিচে ভাইরাল বা এডিটেড ছবিটি (বামে) এবং আনন্দবাজার পত্রিকার প্রথম পাতার প্রকৃত চিত্র (ডানে) পাশাপাশি দেখুন--
অর্থাৎ আনন্দবাজার পত্রিকার ই-পেপারের প্রথম পাতায় বাইডেন-মোদীর ছবি এডিট করে বাইডেন-হাসিনার ছবি বসানো হয়েছে। পাশাপাশি ছবিটির নিচে "চিনের সম্পর্ক আর্থিক হলেও রক্তের বন্ধু ভারত, বার্তা হাসিনার" শিরোনাম এডিট করে "জোর করে বাইডেনের সাথে ছবি তুলেছেন শেখ হাসিনা" শিরোনাম বসানো হয়েছে।
সুতরাং ভারতীয় বাংলা একটি পত্রিকার লিড ছবি ও এর নিচের শিরোনাম এডিট করে বিভ্রান্তিকর দাবিতে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে।