সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের একাধিক আইডি ও পেজ থেকে একটি ছবি পোস্ট করে বলা হচ্ছে, কুমিল্লা বোর্ডে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়া হচ্ছে।। এরকম কয়েকটি পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে ও এখানে।
গত ৭ নভেম্বর 'S.M. Amanur Rahman Rafat' নামে একটি আইডি থেকে একটি ছবি পোস্ট করে বলা হয়, "প্রসঙ্গ: কুমিল্লা বোর্ডের প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানি। এখন হিন্দু দুই ভাইয়ের মধ্যে মারামারি লাগলে জমিতে মুসলমানের কাছে বিক্রি করতে হবে। না হলে ক্লাইমেক্স/কাম আউট কিভাবে হবে!!!!"। উক্ত পোস্টটিতে ফেসবুক পোস্টটির রেফারেন্স হিসেবে সময়ের আলো নামে একটি অনলাইন পোর্টালের সংবাদের লিংক যুক্ত করা হয়। ফেসবুক পোস্টটির স্ক্রিনশট দেখুন--
ফ্যাক্ট চেক:
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, উক্ত ফেসবুক পোস্টের ছবিটি কুমিল্লা বোর্ডের প্রশ্নপত্রের হওয়ার দাবিটি সঠিক নয়। প্রশ্নপত্রটি মূলত চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ঢাকা বোর্ডের।
পোস্টে সংযুক্ত লিংকে প্রবেশ করে 'ঢাকা বোর্ডের প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক উসকানি' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। স্ক্রিনশট দেখুন--
আরও সার্চ করে দৈনিক পত্রিকা দ্য ডেইলি স্টারের বাংলা সংস্করণে 'এইচএসসির প্রশ্নে সাম্প্রদায়িক উসকানি: জড়িত ৫ জন চিহ্নিত' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের প্রশ্নপত্রের সৃজনশীল অংশের ১১ নম্বর প্রশ্নটিতে সাম্প্রদায়িক উস্কানির অভিযোগ ওঠে। স্ক্রিনশট দেখুন--
এছাড়াও, দৈনিক ইনকিলাবের ওয়েবসাইটে 'এইচএসসি বাংলা প্রথম পত্রের বিতর্কিত প্রশ্নটি কুমিল্লা বোর্ডের নয়, জানালেন চেয়ারম্যান' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদনে কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের বক্তব্য যুক্ত করা হয়। দেখুন--
আলোচ্য পোস্টের ছবিটির পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, প্রশ্নপত্রের ১১ নম্বর প্রশ্নটি নিয়ে আপত্তি তোলা হয়েছে, যেখানে হিন্দু-মুসলিম প্রতিবেশীদের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে উদ্দীপক তৈরি করা হয়েছে। ঢাকা বোর্ডের প্রশ্নপত্র এবং আলোচ্য প্রশ্নপত্রের ১১ নম্বর প্রশ্নের ছবিটির সাথে মিলিয়ে দেখা যায়, প্রশ্নদুটি একই রকম। ঢাকা বোর্ডের কাসালং সেটের সেট ১ এর প্রশ্নপত্রটি দেখুন--
অর্থ্যাৎ ঢাকা বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষার বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্নপত্রকে কুমিল্লা বোর্ডের প্রশ্নপত্র বলে প্রচার করা হচ্ছে ফেসবুকে, যা বিভ্রান্তিকর।