"করোনা ভাইরাস ছড়ানোর অভিযোগে এক মার্কিন বিজ্ঞানিকে গ্রেফতার করেছে এফবিআই"-- এমন একটি খবর সামাজিক মাধ্যমে অনেকে শেয়ার করছেন।
কিছু ফেসবুক পোস্টে দাবি করা হয়েছে, এফবিআই এর গ্রেফতার করা ওই ব্যক্তি হলেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর চার্লস লিবার। আবার কোথাও দাবি করা হয়েছে তিনি বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর।
নিচে তেমন একটি ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিনশট দেয়া হল--
কিছু ফেসবুক পোস্টে যে ব্যক্তির ছবি যুক্ত করা হয়েছে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর চার্লস লিবার। ভাইরাল পোস্টগুলোর দাবি অনুযায়ী, প্রফেসর লিবার চীনের উহান বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং একটি গবেষণা ল্যাবে করোনা ভাইরাস উৎপাদনে জড়িত প্রফেসর লিবার এবং মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই তাকে এই অভিযোগে গ্রেফতার করেছে।
আরেকটি পোস্টের স্ক্রিনশট--
মূল ঘটনা:
গত জানুয়ারি মাসে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির প্রফেসর চার্লস লিবারকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিগত কয়েক বছরে চীনের উহান উইনিভার্সিটি অব টেকনোলজির কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ গ্রহণ করলেও সে বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কর্তৃপক্ষকে যথাযথ তথ্য দেননি। এছাড়া প্রফেসর লিবারের সাথে চীনের সরকারি অর্থায়নে রিক্রুটমেন্ট প্রগ্রামের সাথেও তিনি যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ফ্যাক্ট চেক:
উপরিউক্ত ভাইরাল ফেসবুক পোস্টগুলোতে যেসব দাবি করা হয়েছে সেগুলো অসত্য।
প্রফেসর চার্লস লিবারকে এফবিআই উহানে চীনের পক্ষ হয়ে করোনাভাইরাস তৈরির সাথে জড়িত থাকার কারণে গ্রেফতার করেনি। প্রফেসর লিবারের গ্রেফতারের সাথে করোনাভাইরাস ছড়ানোর ঘটনার কোনো সংযোগ নেই। এমনকি প্রফেসর লিবারের গ্রেফতারের ঘটনায় এফবিআই এমন কোনো বক্তব্য বা তথ্য দেয়নি যে, উহানে চীনা কর্তৃপক্ষ করোনাভাইরাস উৎপাদন করে তা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়েছে।
জানুয়ারি মাসে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোতে চার্লস লিবারের খবর প্রকাশিত হয়। এসব খবরে কোথাও তার গ্রেফতারকে করোনাভাইরাস ছড়ানোর সাথে সংশ্লিষ্ট করে কোনো তথ্য দেয়া হয়নি।
এএফপি ফ্যাক্টচেক, স্নোপস এবং ফ্যাক্টচেক ডট ওআরজি গত কয়েকদিনে ফ্যাক্ট চেকিং রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যাতে প্রমাণ করা হয়েছে যে, চার্লস লিবারের গ্রেফতারের সাথে করোনা ভাইরাসের কোনো সংযোগ নেই।