সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে একটি ছবি দিয়ে দাবি করা হচ্ছে, ছবিটি সম্প্রতি বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নৌকা ডুবির ঘটনার। ছবিটিতে নদীর পাশে লাশের সারি দেখতে পাওয়া যায়। এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে এবং এখানে।
গত ২৮ আগস্ট 'মুফতি এহছানুল হক মুজাদ্দেদী' নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে একটি ছবি শেয়ার করে বলা হয়, "ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইতিহাসের মর্মান্তিক নৌ দূর্ঘটনা! এত লাশ একসাথে কখনো দেখিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী... নৌকা ডুবি ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫১ জনকে মৃত ঘোষনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ সকল শহিদদের জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন- আমিন" অর্থাৎ দাবি করা হচ্ছে ছবিটি সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নৌ-দুর্ঘটনার। দেখুন সেই পোস্টের স্ক্রিনশট--
ফ্যাক্ট চেক
বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ছবিটি সাম্প্রতিক কোনো ঘটনার নয় এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ারও নয়।
২০২০ সালের জুন মাসে ঢাকার একটি লঞ্চ দুর্ঘটনার খবরের সাথে ছবিটি একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তন্মধ্যে ওই ছবিটি সহ গত বছরের ২৯ জুন 'লঞ্চ দুর্ঘটনা: সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি' শিরোনামের বিডিনিউজ২৪ ডটকম-এ প্রকাশিত খবরে বলা হয়, "এমএল মর্নিং বার্ড নামের ওই লঞ্চটি সোমবার সকালে মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে যাত্রী নিয়ে সদরঘাটের দিকে আসছিল। শ্যামবাজারের কাছে বুড়িগঙ্গায় ময়ূর-২ নামের আরেকটি বড় লঞ্চের ধাক্কায় সেটি ডুবে যায়।" খবরটির সাথে ছবিটির ফটোগ্রাফারের নামও উল্লেখ করা হয়। দেখুন স্ক্রিনশট--
পরবর্তীতে ২০২০ সালের ৩০ জুনে ভারতীয় গণমাধ্যম জি নিউজেও ছবিটি একই ঘটনা সংক্রান্ত খবরের সাথে প্রকাশ করা হয়েছিল। দেখুন জি নিউজের খবরটির স্ক্রিনশট --
উল্লেখ্য সম্প্রতি গত ২৭ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে লইছকা বিলে নৌ দুর্ঘটনার খবর মূলধারার একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তন্মধ্যে বিসিসি বাংলার খবরটি দেখুন--
এ ঘটনায় ২০ জনের অধিক মানুষের প্রাণহানি এবং নিখোঁজের খবরও প্রকাশিত হয়েছে গণমাধ্যমগুলোতে। এ সংক্রান্ত কিছু খবর দেখুন খবর এখানে এবং এখানে।
অর্থাৎ সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নৌকা ডুবির ঘটনার সাথে গত বছরের ঢাকায় লঞ্চ ডুবির ছবি জুড়ে দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে: যা বিভ্রান্তিকর।